গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ
গাজা এবং সর্বশেষ লেবাননে ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের বছর পূর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন নগরীতে ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। সপ্তাহান্তে তারা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ওয়াশিংটনে সহস্রাধিক লোক হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অস্ত্র ও সহায়তা প্রদান না করার আহ্বান জানান। এ সময় জনৈক বিক্ষোভকারী নিজের গায়ে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করেন। অগ্নিসংযোগ করলে আগুনে তার বাম বাহু পুড়ে যায়। কিন্তু উপস্থিত লোকজন ও পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এছাড়া ইউরোপ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা ব্যাপী বিভিন্ন নগরীতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী লোকজন জড়ো হন এবং সংঘাত বন্ধের দাবি জানান। গত বছরের ০৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে। এতে গাজায় ৪২ হাজার লোক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক। রোমে কয়েক হাজার ফিলিস্তিন সমর্থক তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কয়েক ডজন তরুণ বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও ফায়ার ক্র্যাকার নিক্ষেপ করে। এর জবাবে পুলিশ তাদের প্রতি টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে স্লোগান দেয় “ইসরাইল একটি অপরাধী রাষ্ট্র”। বার্লিনের পুলিশ জানিয়েছে, একটি ইসরাইলপন্থী স্মরন সভায় অপমানজনক স্লোগান দেওয়ার জন্য তারা ২৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ইতোমধ্যে জার্মানির রাজধানীতে ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত একটি বিক্ষোভে সহস্রাধিক লোক অংশগ্রহণ করে। লন্ডনে ‘ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইনে’ বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় ‘বেসামরিক লোকজনের উপর বোমাবর্ষণ বন্ধ করো’ এবং ‘লেবানন থেকে হাত গুটিয়ে নাও’।
ডাবলিন, প্যারিস, অ্যাথেন্স, কেইপ টাউন, ডারবান, জাকার্তা, সিডনি, নিউইয়র্ক বুয়েনেস আয়ার্স, মাদ্রিদ, ম্যানিলা ও করাচিতেও ইসরাইলি আগ্রাসন বিরোধী বেশ বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।