পশ্চিমা দেশগুলো গণহত্যা সত্বেও ইসরাইলকে সহায়তা দিচ্ছে

পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের প্রতি জোরালো রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। গণহত্যার অভিযান এবং এর পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান সত্ত্বেও এসব দেশ ইসরাইলকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এক বছর পর গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সংঘাত বিস্তৃত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য জার্মানি ফ্রান্স ইতালিসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশসমূহ ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা’য় সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন পরিচালিত হামলার পর তারা এমন অঙ্গীকার করে ঐসব দেশ বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অব্যাহতভাবে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করছে এবং সম্ভব সব ধরনের সাহায্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে । গত ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি মানবিক যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করে, যাতে গাজায় প্রাণ সহায়তা প্রদানের অনুমতি আহ্বান জানানো হয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবরের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্যে দশবার সফর করেছেন। তিনি অন্যান্য অঞ্চলিক দেশের পাশাপাশি ইসরাইলে নয়বার সফর করেন। গত জুলাই মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ভাষণ দান করেন। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সত্ত্বেও অনেক মার্কিন আইন প্রণেতা তার বায়ান্ন মিনিটের ভাষণকালে দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ ইসরাইলকে মানবিক নীতিমালা সম্বলিত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন ইসরাইলি সৈন্যরা যা করছে আন্তর্জাতিক আইন মেনে তা করবে। তিনি আরো বলেন, জার্মানি ইসরাইল থেকে আসা সাহায্যের অনুরোধ অবিলম্বে পরীক্ষা ও বাস্তবায়ন করবে।
এছাড়া ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার ইসরায়েলের জন্য নিঃস্বার্থ সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন। সাত অক্টোবরের পর সহায়তা প্রদর্শনের জন্য প্রথম ইসরাইল সফরকারি নেতাদের মধ্যে তিনি একজন। বেসামরিক জনগণের হত্যাকান্ড সত্ত্বেও তিনি অব্যাহতভাবে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের উপর জোর দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button