ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রির ব্রিটিশ নীতিতে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ লেবার পার্টি
গাজায় ইসরাইলী গনহত্যার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও ব্রিটেনের লেবার পার্টির ফিলিস্তিন বিষয়ক নীতির তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। বলা যায়, দেশের বিদ্যমান ফিলিস্তিন নীতিতে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি লেবার পার্টি। গত ৪ জুলাইয়ের সাধারন নির্বাচনের পর লেবার সরকার প্রাথমিকভাবে ইসরাইলে ব্রিটিশ অস্ত্র সরবরাহের ওপর একটি আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ইসরাইলী প্রধনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নেয়।
প্রাথমিকভাবে এগুলো একটি ভালো লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। যখন লেবার সরকার গাজায় একটি যুদ্ধ বিরতি এবং সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির আহ্বান জানায়, তখন তারা ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপসমূহকে সরাসরি নিন্দা জ্ঞাপন থেকে বিরত থাকে। গাজায় গনহত্যা বন্ধে তখন কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও গ্রহন করেনি।
নির্বাচনের পূর্বে লেবার পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেন, ইসরাইলের অধিকার রয়েছে গাজায় বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার। তার এ বক্তব্য ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। যুক্তরাজ্য ইসরাইলের অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত সামগ্রী বিক্রির শতাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তারা এসব অনুমোদন দিয়েছে। ব্রিটিশ ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস এন্ড ট্রেড এই ডাটা বা উপাত্ত প্রদান করেছে। ইসরাইলী সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করছে, এমন হুঁশিয়ারী সত্বেও ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রয়কারী কোম্পানীগুলোর অস্ত্র রফতানির লাইসেন্স বাতিলে যুক্তরাজ্যের ব্যর্থতা দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যাম্মি ২ সেপ্টেম্বর ঘোষনা দেন যে, ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রির ৩০ থেকে সাড়ে ৩’শ লাইসেন্স স্থগিত করা হবে।
দুর্ভাগ্যের বিষয়, ব্রিটিশ সরকারের আংশিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমানের জন্য যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। অথচ গাজা ও লেবাননে বোমা বর্ষনে ব্যবহৃত জঙ্গী বিমানের ১৫ শতাংশই হচ্ছে এফ-৩৫ বিমান।