গাজায় গণহত্যা মানবতার জন্য লজ্জা
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান গত বৃহস্পতিবার বলেন, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা, যার এক বছর হয়ে গেছে, তা মানবতার জন্য একটি সামগ্রিক লজ্জা। তিনি বলেন, এজন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে, যাতে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা যায় এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও ইসরাইলের উপর প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করা যায়। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে, আলবেনিয়াও এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকে কাজ করবে। আলবেনিয়া রাজধানী তিরানায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইদি রামার সাথে বৈঠক শেষে এক যৌথ প্রেস কনফারেন্সে এরদোগান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এরদোগান তার মিনি বলকান সফরের অংশ হিসেবে তিরানায় যান। তিনি আগে আলবেনীয় প্রেসিডেন্ট বায়রাম বিগেইয়ের সাথে বৈঠক করেন। এরদোগান ও ইদি রামা দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের কাউন্সিল মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন এবং দ্বীপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে উপস্থিত থাকেন।
আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা বলেন, আলবেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সামরিক বাহিনীকে অনেকগুলো ড্রোন উপহার দেওয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রশংসা করছি। রাজধানী নগরী তিরানায় এরদোগান গ্রান্ড মসজিদের উদ্বোধন করবেন। মসজিদটি ‘নামাজগাহ মসজিদ’ হিসেবেও পরিচিত।
তুরস্ক ও আলবেনিয়া যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ে ৪ টি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরদোগান বলেন, চুক্তিসমূহ দুটি দেশের সহযোগিতায় আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। তিনি এই মর্মে জোর দেন যে, তুরস্ক সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে তার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার আলবেনিয়াকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম ধাপে আলবেনিয়ায় বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। এরদোগান বলেন, ফেটো’র মত সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ লড়াইয়ের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলবেনিয়ায় সফর শেষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড সফর করবেন।