ইসরাইলি ধৃষ্টতার নিন্দায় এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইসরাইলি হামলা এবং এ ব্যাপারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতার সমালোচনার উপর পুনরায় জোর দিয়েছেন। রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রী পরিষদের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, যে সব দেশ তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তারা প্রকাশ্যে ইসরাইলকে সমর্থন করছে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী দুরভিসন্ধি নিয়ে কাজ করা ইসরাইলি সরকারকে থামানো যাবে না যতক্ষণ তার পেছনে মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য সহায়তা বিদ্যমান থাকবে। আমরা বুঝতে পারি না ইসরাইলকে থামানোর জন্য জাতিসংঘ কিসের অপেক্ষা করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, জাতিসংঘের ভাবমূর্তি এমনি যে সংস্থাটি তার নিজের স্টাফদের ইসরাইলি হামলা থেকে রক্ষা করতে পারে না। এটা লজ্জাজনক ও উদ্বেগের বিষয়।
জানা গেছে দক্ষিণ লেবানন ও সেখানকার হিজবুল্লাহর ঘাঁটি গুলোতে চালানো ইসরাইলি হামলায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জাতিসংঘের অন্তত ৫ জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
১৯৭৮ সালে লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসনের পর বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে ঌ হাজার সৈন্য নিয়ে জাতিসংঘের ‘ইউনিফিল’ মিশন গঠন করা হয়, যা লেবানন সীমান্তে মোতায়ন রয়েছে। ইউনিফিল অভিযোগ করেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের অবস্থানে গুলি বর্ষন করছে। গত রবিবার জাতিসংঘ বলেছে যে, ইসরাইলির ট্যাংক গুলো দক্ষিণ লেবাননে তাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে গেট ভেঙে প্রবেশ করে। ইউনিফিল শান্তি ও রক্ষী বাহিনী বলেছে, দুটি ইসরাইলি মারকাভা ট্যাংক একটি ঘাঁটির মূল ফটক ভেঙে জোরপূর্বক ভেতরে প্রবেশ করে
ঘটনাটি ঘটে রবিবার খুব ভোরে । ট্যাংকগুলো চলে যাওয়ার পর ১০০ মিটার দূরে শেল বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘাঁটি জুড়ে ধোয়া ছড়িয়ে পড়ে এবং শান্তিরক্ষীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইউনিফিল এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ইউনিফিলের উপর ইসরাইলি সরকারের হামলা ও হুমকি প্রদানের ধৃষ্টতা এটা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যে, যাদের চোখ এখনো খোলা তাদের জন্য পরিস্থিতি কতোটা গুরুতর।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button