‘ইসরাইল আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির প্রতি সরাসরি হুমকি’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন, ইসরাইল হচ্ছে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির প্রতি সবচেয়ে বড়ো সরাসরি হুমকি। যারা বিশ্ব শান্তি রক্ষায় কাজ করছেন তাদেরকে অবশ্যই এই হুমকির অবসান ঘটাতে হবে। সার্বিয়া ও আলবেনিয়া থেকে ফেরার পথে বিমানে আরোহী সাংবাদিকদের তিনি একথাগুলো বলেন। এরদোগান এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করেন যে, ইসরাইল শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের স্থিতিশীলতাকে লক্ষ্যবস্তু করেনি, লেবাননকেও টার্গেট করেছে, যাতে আশপাশের অঞ্চলে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেয়া যায়। আংকারা তেল আবিবের তৎপরতার প্রতি দৃষ্টি রাখছে এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তুরস্কের প্রতি যেকোন সম্ভাব্য পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসন অস্বীকার করা যাবে না। নেতানিয়াহু ও তার দোসরদের স্বপ্নগুলোকে দু:স্বপ্নে পরিনত করতে হবে। তিনি আরো বলেন যে, সকলের সামনে গাজা গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে এবং ‘মানবতার ঐতিহাসিক লজ্জা’র মধ্যে তা ঘটছে। যারা ইসরাইল নামক ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়েছে, তারা প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে এই লজ্জার চিহ্ন বহন করবে।
এরদোগান বলকান দেশসমূহের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তুরস্কের বিদ্যমান প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং আলবেনিয়া ও সার্বিয়ায় তার সাম্প্রতিক সফরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গঠনমূলক বলে বর্ননা করেন।
গাজা সংকটের বার্ষিকীতে তার প্রদত্ত বার্তা সংগীতশিল্পী রজার ওয়াটারসের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
এরদোগান আরো বলেন, আমরা যতো বেশী সংখ্যক মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে পারবো এবং যতো বেশী যারা মানবতার ক্ষতি করছে তাদের থামাতে পারবো, ততোই ভালো। তার সফরের সময় এরদোগান আলবেনীয় প্রেসিডেন্ট বাজরাম বেগাজের সাথে বৈঠক করেন এবং রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীসমূহ বিশেষভাবে ‘ফেটোর’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। সার্বিয়ায় তিনি সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুসিকের সাথে চতুর্থ উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা পরিষদের সভায় মিলিত হন।