ইসরাইল যুদ্ধ বিস্তৃতির ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে

ইসরাইল সকল আন্তর্জাতিক আইনকানুনের ধারনাকে ধ্বংস করছে

গত শনিবার তুরস্ক এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, ইসরাইলের হামলার ঝুঁকি এ অঞ্চলে বিস্তৃত হচ্ছে, যাকে কখনো ছোট করে দেখা যাবে না। আমরা উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছি, বিশ্বব্যাপী যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সম্প্রতি ইস্তান্বুলে ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতকালে তুরুস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ফিদান আরো বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীন সমঝোতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত বলে মনে করি। ফিদান হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্যদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন এবং গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন, যা জিম্মি মুক্তি ও বন্দী বিনিময়কে সম্ভব করবে।
এদিকে পাকিস্তান বলেছে, ইসরাইল গাজায় যুদ্ধের মাধ্যমে সকল আন্তর্জাতিক আইনকানুনের ধারনাকে ধ্বংস করছে। গত শুক্রবার ষষ্ঠ কমিটি সভায় জাতিসংঘে পাকিস্তানের দূত মুনির আকরাম বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লংঘনের মতো কার্য একইভাবে বৈদেশিক দখলদারিত্বের অধীনে জনগনের অধিকার লংঘন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রন ও নিরস্ত্রীকরন নস্যাৎ, ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য এবং টার্গেটকৃত হত্যাকান্ড তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে আইনের শাসনের লংঘন। পরিহাসের বিষয় এই যে, যেসব দেশ আন্তর্জাতিক আইনের অবক্ষয়ের সহায়তাকারী, তারা আইনানুসারী বলার পক্ষে স্বর উঁচু করার ধৃষ্ঠতা প্রদর্শন করেছে, যা তাদের বর্ণনা ও ব্যাখ্যার সাথে সংগতিপূর্ন নয়।
আকরাম আরো বলেন, জাতিসংঘ সনদ, জেনেভা চুক্তিসমূহ, নিরস্ত্রীকরন চুক্তি ও মানবাধিকার চুক্তিসমূহ নিয়ে আইনের শাসনের মেরুদন্ড গঠিত। পাকিস্তানের দূত আইনের শাসনের ধারনা ব্যাখ্যাপূর্বক আন্তর্জাতিক আইন কমিশন গঠনের জন্য লিগ্যাল কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আন্তর্জাতিক আইন আদালত থেকে একটি উপদেশমূলক অভিমত গ্রহনের পরামর্শ দেন, যখন ইসরাইলী বাহিনীগুলো গাজায় গনহত্যার অভিযোগের সম্মুখীন। বলা বাহুল্য, ইসরাইল ইতোমধ্যে ৪২ হাজারেরও বেশী ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button