‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকলে কোন যুদ্ধই হতো না’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হতেন তবে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের হামলার ঘটনা ঘটত না। সম্প্রতি প্রভাবশালী সৌদি ইংরেজি দৈনিক আল এরাবিয়ার সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরো বলেন, যদি আমি প্রেসিডেন্ট হতাম তবে যুদ্ধ কখনো শুরুই হত না। আপনাদের এত মানুষের মৃত্যু ও এতো নগরী জনপদের ধ্বংস দেখতে হতো না, এমনকি অক্টোবর হতো না।
এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লেবাননের হিজবুল্লার সাথে ইসরাইলের এবং রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধ বিস্তৃত হতো না বলে মন্তব্য করেন।
তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে আব্রাহাম একোর্ড অর্থাৎ ইব্রাহিমের চুক্তি সম্প্রসারিত হবে বলে উল্লেখ করেন। লক্ষনীয় যে, যখন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইসরাইল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে চুক্তি স্বাক্ষর করে, এটাকে আব্রাহাম একোর্ড বলা হয়। ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব ও বাহারাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন, চুক্তির ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়। যার ফলে দেশ দুটির সাথে ইসরাইলের পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়। এরপর সুদান ও মরক্কোও ও ইসরাইলের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
অবশ্য গাজায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক নির্বিচার ও অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে বাহরাইন ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
বলাবাহুল্য, সহিংসতা বন্ধের জন্য ক্রমবর্ধমান আহ্বান সত্ত্বেও ইসরাইল লেবানানের ব্যাপক এলাকায় হামলার মাধ্যমে সহিংসতার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে, যখন ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সাথে তাদের যুদ্ধ চলমান।
ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যর্থতা মার্কিন মুসলিম ভোটারদের দ্বিধা বিভক্ত করে ফেলেছে। তারা আগামী ৫ নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবে কিনা এ নিয়ে এই বিভাজন দেখা দিয়েছে।