লন্ডনে অবৈধ পার্কিং ও এলএনটি থেকে রেকর্ড জরিমানা আদায়
গত বছর লন্ডনে রেকর্ড সংখ্যক গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে, যার সংখ্যা ৮.৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ৮৩ লাখ। এতে কাউন্সিলগুলোর কোটি কোটি পাউন্ড আয় হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে লন্ডনের ৩৩ টি বারা ও ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন মোট ৮৩ লাখ জরিমানার নোটিশ হস্তান্তর করে। এটা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইস্যুকৃত ৭৬ লাখ নোটিশের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। এগুলোর মধ্যে অর্ধেকের চেয়েও বেশি পার্কিং টিকেট, যার পরিমাণ ৪৫ লাখ ৭ হাজার ৬৯০। এগুলোর ফেইসভ্যালু ৬০ থেকে ১৩০ পাউন্ড।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪ লাখ ৭ হাজার বেশি টিকেট ইস্যু করে, যা ১১.২ শতাংশ বৃদ্ধি। এটা সম্ভবত আবাসিক পার্কিং জোনগুলোর জন্য বেড়েছে। উক্ত সময়ে টিএফএল অর্থাৎ ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন অধিকাংশ পার্কিং টিকেট ইস্যু করে, যার পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫১ টি। এর পরের স্থানে রয়েছে ওয়েস্ট মিনিস্টার, যার পরিমাণ ৪ লাখ ৭ হাজার ২৮৪ টি এবং এর পরে আছে নিউহ্যাম, যার পরিমাণ ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৭ টি। এছাড়া এ সময় চলন্ত গাড়ির অপরাধ বাড়ে ৮.৫ শতাংশ।
উদাহরণস্বরূপ, যখন গাড়ি চালক হলুদ বক্স জংশন এলাকায় থামে কিংবা নিষিদ্ধ পন্থায় গাড়ির মোড় নেয়। এগুলোর মধ্যে ওই সব চালক অন্তর্ভুক্ত যারা লো ট্রাফিক নেইবারহুড (এল টি এন) কিংবা স্কুলের রাস্তায় বিধিমালা লংঘন করে। এসব স্থানে শুধু আবাসিক বাসিন্দারা প্রবেশাধিকার পান। চলন্ত গাড়ির আইন লঙ্ঘন আইন বাস্তবায়নে সাধারণত সিসিটিভি ব্যবহৃত হয়। অপরাধ সংঘটনের কয়েক সপ্তাহ পর জরিমানার নোটিশ দুয়ারে পৌঁছে যায়।
টিএফএল এবং ৩৩ টি লন্ডন বারার আয় কত তা প্রকাশিত না হলেও ধারণা করা হয় এর পরিমাণ ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো হবে। এই অর্থ পরিবহন স্কিম এবং বেনিফিটসমূহের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে লন্ডনের বয়োবৃদ্ধ ও পঙ্গু বাসিন্দাদের ফ্রি ভ্রমণের সুবিধাদি।