তুরস্ক কেন ব্রিকসে যোগদানে আগ্রহী?

রুশ নগরী কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে একজন আকর্ষণীয় বিশেষ অতিথির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান। সম্মেলনে তিনি তার প্রতিপক্ষ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এতোটাই নিবিড় সম্পর্ক রাখেন যে, একপর্যায়ে পুতিনকে তিনি ‘আমার প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন।
বিষয়টি তুরস্কের ব্রিকসে যোগদানের আকাঙ্ক্ষার স্পষ্ট ইঙ্গিত, যে আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরে পুষছে আংকারা। শীর্ষ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির এই আগ্রহকে আনুষ্ঠানিকভাবে দৃঢ় করবে এবং নির্দিষ্ট অংশীজনের কাছে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেবে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ব্রিকস্ সংগঠনটি গঠিত।
সম্প্রতি এটাকে আরো সম্প্রসারিত করা হয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে জি-২০ এর সদস্য সৌদি আরব গ্রুপে যোগদান নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছে। যদিও তুরস্ক জি-২০ গ্রুপের একটি সদস্য দেশ এবং একটি আঞ্চলিক মাঝারি পরাশক্তি, তবুও দেশটি গ্রুপের একটি আনুষ্ঠানিক সদস্য হওয়ার চেষ্টায় আছে।
তুরস্কের আবেদনটি উল্লেখযোগ্য, কারণ সে প্রথম ও একমাত্র ন্যাটো সদস্য দেশ যে এরূপ একটি অ-পশ্চিমা গ্রুপে যোগ দিতে চাইছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে রয়ে গেছে। দেশটি এখনো এই ব্লকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থী।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া ও ব্রিকসের অন্যান্য সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সমালোচক। এটা একটি জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যদিও তুরস্কের বিষয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কাছে এটা নিশ্চিত ভাবে স্পষ্ট যে ন্যাটো এবং ইইউ-এর সম্ভাব্য অসন্তোষ সত্ত্বেও তুরস্ক কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে ব্রিকসে যোগদান করতে চাওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। লক্ষনীয় যে, জ্বালানি, বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য ব্রিকসের সদস্য হওয়া আবশ্যক তুরস্কের জন্য। তুরস্কের নীতি নির্ধারকরা ব্রিকসকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যা পাশ্চাত্যের সাথে তুরস্কের সম্পর্কে একটি বিকল্প।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button