ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অপরাধ বেড়েছে ১০ শতাংশ
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের সর্বশেষ ডাটা থেকে জানা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ব্যক্তি ও গৃহস্থালি কেন্দ্রিক অপরাধ বিগত এক বছরে দশ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত গত এক বছরে ডাকাতি ও আঘাতসহ সহিংসতা এবং প্রতারণার মত অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়, যা মহামারী পূর্ব সময়ের অবস্থায় ফিরে যায়। ইতোমধ্যে পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, শপ লিফটিং অর্থাৎ দোকান থেকে মাল তুলে নেয়ার অপরাধ বেড়েছে ২৯ শতাংশ, যা গত ২ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওএনএস এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, করোনা নিষেধাজ্ঞার সময়সহ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিগত এক বছরের অপরাধের ধারা থেকে এমন পরিবর্তন সাময়িক, না নতুন ধারার সূচনা তা এখন বলা সম্ভব নয়।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, সাধারণভাবে গত দশকে অপরাধ হ্রাস পায়। ব্রিটিশ অপরাধ, পুলিশিং ও অগ্নি বিষয়ক মন্ত্রী ডেম ডায়ানা জনসন বলেন, অনেকগুলো শহর কেন্দ্রে শপ লিফটিং রেকর্ড পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে।
কমিউনিটিসমূহ ছুরিকাঘাত, ছিনতাই ও ডাকাতির বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন গত বছরের প্রায় ৯২ লাখ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে যেগুলোকে হেডলাইন ক্রাইম বলা হয়, এগুলোর মধ্যে চুরি ডাকাতি অপরাধমূলক ক্ষতি সাধন, প্রতারণা কম্পিউটার অপব্যবহার, আহত করণসহ বা ব্যতিরেকে সহিংসতা।
সার্বিক দিক দিয়ে এসব অপরাধ বেড়েছে ১০ শতাংশ। ও এনএস-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এটা বলা হয়েছে। বর্ণিত সময়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগের এ সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। ঘটনা ছিল ৫ লাখ ৬২ হাজার এর আগের তা ছিল তিন লাখ ৭৬ হাজার। সামগ্রিকভাবে নব্বইয়ের-এর দশকের তুলনায় সহিংসতা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। অবশ্য কনজিউমার ও রিটেইল ফ্রডের ঘটনা কমেছে ১৯ শতাংশ , যার সংখ্যা ৯ লাখ ৬৩ হাজার। গত বছর যৌন হামলার ঘটনার ক্ষেত্রে কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। যাই হোক, গত দশকব্যাপি এসব অপরাধ বৃদ্ধি পেলেও ওই সময়ে ব্যক্তি ক্ষেত্রে অপরাধ কমতে দেখা গেছে, যা বিশেষ ব্যতিক্রম বলা যায়।
সর্বোপরি ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে মোট চার লাখ ৬৯ হাজার ৭৮৮টি অপরাধ সংঘটিত হয়, যা এর আগের বছর ছিল ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ টি।