ফিলিস্তিনে দারিদ্র্যের হার ৭৪.৩ শতাংশ বেড়েছে
জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় বিগত মাসগুলোতে ইসরাইলের অব্যাহত হামলার ফলে চলতি বছর ফিলিস্তিনি এলাকাসমূহে দারিদ্র্যের হার ৭৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধের ফলে এসব এলাকার অবস্থা ৬৯ বছর আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে।
জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার বলেন, যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ফল শুধু অবকাঠামোর ধ্বংসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং দারিদ্র, জীবিকা ও জীবিকা হারানোর মধ্যেও বিশাল। স্টেইনার আরো বলেন, ২০১৭ সালের শেষ দিকে দারিদ্র্যের হার ছিল ৩৮.৮ শতাংশ। কিন্তু অন্যান্য ২৬ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি চলতি বছর দারিদ্রে নিপতিত হয়। ফলে দারিদ্র্য পীড়িতদের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১ লাখে। ইউএনডিপির নতুন মূল্যায়নে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
যুদ্ধের সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত নতুন একটি সমীক্ষা উপস্থাপন করে স্টেইনার বলেন যে, এমনকি যদি প্রতিবছরও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয় তবু এই অঞ্চলের অর্থনীতি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে এক দশক কিংবা এর বেশি সময় লাগতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজধানী পুনঃনির্মাণ এবং দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নেও সহায়তা প্রয়োজন। ইউএনডিপি বলেছে, ফিলিস্তিনের অর্থনীতি বর্তমানে এক বছর আগে ইসরাইলে আগ্রাসন শুরুর সময়ের চেয়েও ক্ষুদ্র, যখন গাজায় উন্নয়নের লেভেল পঞ্চাশের দশকের অবস্থায় নিপতিত হয়েছে, মুছে গেছে ৬৯ বছরের সকল অগ্রগতি।
নতুন মূল্যায়ন নিশ্চিত করেছে যে, বিদ্যমান দুর্ভোগ ও জীবনের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে একটি মারাত্মক উন্নয়ন সংকট প্রকাশ পাচ্ছে, যা ফিলিস্তিনের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতকে সংকটপূর্ণ করে তুলছে।
ইউএনডিপি’র ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তা কর্মসূচির ডেপুটি স্পেশিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ নগুটি চিতৌজ বলেন, এ অঞ্চলের দারিদ্র্যের পর্যায় প্রতিবন্ধকতার দরুন শতভাগের দিকে যাচ্ছে যখন বেকারত্বের হার ৮০ শতাংশ। চিতৌজ আরো বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র নজিরবিহীন পশ্চাতপদতার সম্মুখীন। আর গাজায় অবস্থা ৭০ বছর আগের ১৯৫৫ সালের উন্নয়নের পর্যায়ে নেমে এসেছে।