জি-টুয়েন্টি দেশসমূহে তুরস্কের ১০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানী
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জি-টুয়েন্টিভুক্ত দেশসমূহে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানী করেছে। এ সময়ে তুরস্কের এই পন্য রপ্তানী ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জি-টুয়েন্টিভুক্ত দেশগুলো বৈশ্বিক মোট জিডিপি’র প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং বৈশ্বিক বানিজ্যেও ৭৫ শতাংশের অধিকারী। তুরস্কসহ ২০ সদস্য নিয়ে গঠিত জি-টুয়েন্টির বর্তমান সভাপতি ব্রাজিল। চলতি মাসের ১৮-১৯ তারিখে ব্রাজিলের রিওডি জেনেরিও-তে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘একটি সুষ্ঠু বিশ্ব ও টেকসই উপগ্রহ গঠন’।
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, দারিদ্র্য মোকাবেলা ও বৈশ্বিক সংস্থাসমূহের দ্রুত সংস্কার। লক্ষনীয় যে, জি-টুয়েন্টির সদস্য দেশগুলোতে তুরস্কের রপ্তানী থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেশটির ভূমিকার বিষয়টি ফুটে ওঠেছে।
২০১৯ সালে তুরস্ক জি-টুয়েন্টির সদস্য দেশগুলোতে ৭১.২ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানী করে। অবশ্য ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় এই রপ্তানী ৬৮.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। পরের বছর অর্থ্যাৎ ২০২১ সালে তা আবার ৮৬.৮ বিলিয়নে উন্নীত হয়। এছাড়া তুরস্ক ২০২২ সালে ঐসব দেশে ৯৭.৩ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানী করে। ২০২৩ সালে তা ৯৭.২ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পায়।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তুরস্কের পন্য রপ্তানী তাৎপর্যপূর্ন হারে বেড়েছে। ২০১৯ সালে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ৯ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানী করলেও ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার। তুরস্ক ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানী করে।
গত ২০২৩ সালে এটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১২.৫ বিলিয়ন ডলার। জি-টুয়েন্টির মধ্যে যুক্তরাজ্য তুরস্কেও তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানী গন্তব্য।