গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ গণহত্যার সাথে সংগতিপূর্ণ
জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি গত বৃহস্পতিবার বলেছে, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ কর্মকাণ্ড গণহত্যার বৈশিষ্ট্যসমূহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কমিটির অভিযোগ, যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে অনাহারে রাখাকে ব্যবহার করছে ইসরাইল।
কমিটি ওই স্থানের ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক হতাহত হওয়া এবং সেখানে বসবাসকারীদের জীবনের ওপর হুমকি সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে চাপিয়ে দেয়ার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ইসরাইলি কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্তকারী উক্ত কমিটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরাইলী কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এই নীতিকে সমর্থন জানাতে দেখা যায় যে, গাজা উপত্যাকার ফিলিস্তিনি জনগণের জীবন রক্ষার জন্য খাদ্য, পানি ও জ্বালানি আবশ্যক। কিন্তু তারা পদ্ধতিগতভাবে মানবিক ত্রাণ সহায়তার সরবরাহে হস্তক্ষেপ করেছে। তাদের অভিযোগ, এই ত্রাণ রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। কমিটির রিপোর্টে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু থেকে ২০২৪ সালে জুলাই পর্যন্ত ঘটনাবলীর উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এতে ইসরাইলের চলমান-অবরোধ আর বোমা হামলার বিপর্যয়কর প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করা হয়েছে।
রিপোর্টে পানি, স্যানিটেশন ও খাদ্য ব্যবস্থাসহ গাজার অবকাঠামোর ধ্বংসলীলা তুলে ধরা হয়েছে। কমিটি এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, অতীব জরুরী পানি স্যানিটেশন ও খাদ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং পরিবেশ দূষিত করে ইসরাইল এক ভয়াবহ সংকটের মিশ্রণ সৃষ্টি করেছে, যা আগামী প্রজন্মগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রিপোর্টে সামরিক অভিযানকালে ইসরাইলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত টার্গেটিং সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, এতে বিশেষভাবে নারী ও শিশুদের হতাহতের সংখ্যা অনানুপাতিক হারে বাড়ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে ভারী বোমা ফেলার ক্ষেত্রে বেসামরিক নাগরিক ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আলাদাভাবে শনাক্ত করার কোন ব্যবস্থা নেই।