অভিবাসীদের আবাসনে হোম অফিসের বিপুল অর্থ অপচয়ের অভিযোগ
মাইগ্র্যান্টদের থাকার জন্য একটি দূষনযুক্ত বন্দীশালার পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠেছে ব্রিটিশ হোম অফিসের বিরুদ্ধে। বিগত রক্ষনশীল সরকারের আমলে এটা করা হয়। বলা হচ্ছে, সিদ্ধান্তটি ছিলো দুর্বল এবং এই বন্দীশালার জন্য দ্বিগুন অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, যার পরিমান ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড। অভিবাসীদের হোটেলে থাকতে দেয়া বন্ধের জন্য যখন চাপ বাড়ছিলো, তখন অভিবাসীদের জন্য ইস্ট সাসেক্সের নর্দিই সাইট অধিগ্রহন করা হয়। এটা ছিলো ঝুঁকিপূর্ন, এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
এ প্রসঙ্গে হোম অফিসের বক্তব্য হচ্ছে, ঘটনাটি বিগত সরকারের কর্মকান্ড সংশ্লিষ্ট এবং তারা অভিবাসীদের জন্য হোটেলে থাকার অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পার্লামেন্টে প্রদত্ত এক ভাষনে বলেন যে, তিনি আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেলে আবাসনের ইতি ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের জন্য শীঘ্রই আবাসস্থল খুঁজে নেয়া হবে। লক্ষনীয় যে এরপর ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে হোয়াইট চ্যাপেল থেকে মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের একটি ক্ষুদ্র দল নর্দিই গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এক্ষেত্রে যথাযথভাবে এটাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি কিংবা অনুমোদনের নীতিমালা অনুসরন করা হয়নি। এই দলে ছিলেন অভিবাসন মন্ত্রী, ও ডাচি অব ল্যানচেষ্টারের চ্যান্সেলর।
ঐ বছর ফেব্রুয়ারীতে বিদ্যমান ভবনে অ্যাসবেস্টোস দূষনযুক্ত সামগ্রী থেকে দূষনের বিষয়টি শনাক্ত করা হয় একটি পরিবেশগত পর্যালোচনায়। পর্যালোচনায় দূষনযুক্ত গ্রাউন্ডের বিষয়টিও ধরা পড়ে। উপযুক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তৈরী প্রতিবেদনে স্থানটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পরের মাসে জেনরিক ঘোষনা করেন যে, ১২ শ’ লোকের আবাসনের জন্য নর্দিই’র উন্নয়ন সাধন করা হবে। ঐ বছরের সেপ্টেম্বরে বিক্রয় সম্পন্ন হয়। তাই ভবন ও সংলগ্ন স্থানের জন্য ১৫.৪ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্য নির্ধারিত হয়। বিক্রেতা ব্রকওয়েল গ্রুপ ২০২২ সালের আগষ্টে এই সম্পত্তিটি ক্রয় করে ৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ডে। কিন্তু সামান্য সময়ের ব্যবধানে রক্ষনশীল সরকারের হোম অফিস এটা দ্বিগুনেরও বেশী মূল্যে ক্রয় করে।