টার্কিশ এয়ারলাইন্স নয় মাসে সাড়ে ৬ কোটি যাত্রী বহন করেছে
তুরস্কের জাতীয় এয়ারলাইন ‘টার্কিশ এয়ারলাইন্স’ চলতি সালের প্রথম ৯ মাসে সাড়ে ৬ কোটিরও বেশী যাত্রী বহন করেছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৮ শতাংশ বেশী। গত সোমবার এয়ারলাইন কোম্পানী তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
কোম্পানী জানিয়েছে, বিগত ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার যাত্রী বহন করে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। ২০২৪ সালের একই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৭ হাজারে। এছাড়া কোম্পানীটি এবছর জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ দিক পর্যন্ত মোট মুনাফা করেছে ২.৭১ বিলিয়ন ডলার। এটা ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসের আয়ের তুলনায় ৩ শতাংশ কম। এসময় যাত্রী বেশী বহন করলেও মুনাফা কম হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, এসময় মোট রাজস্ব বছর ভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী ১৫.৮ বিলিয়ন থেকে ১৭.১ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে সুদ, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন, এমর্টিজেশন ও রেন্ট পূর্ব আয় থেকে কিছুটা কমেছে, যা ৪.৪৮ বিলিয়ন ডলার।
বিদ্যমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্বেও বিশেষভাবে এয়ারক্রাফট উৎপাদনে স্থবিরতা ও ইঞ্জিন সমস্যা সত্বেও টার্কিশ এয়ারলাইন্স তাদের কার্যক্রম প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। বিশাল ফ্লাইট নেটওয়ার্কের কারনে তারা এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠতে পেরেছে এবং চলতি সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত আয় বৃদ্ধি অব্যাহত ছিলো।
জানা গেছে, টার্কিশ এয়ারলাইন্সে বর্তমানে ৪৬৭ টি এয়ারক্রাফট বা বিমান রয়েছে, গত বছরের চেয়ে এই সংখ্যা ৯ শতাংশ বেশী। গত বছর একটি বড়ো এয়ারবাস বহর যুক্ত হওয়ায় এমনটি ঘটেছে। শুধু তা-ই নয়, কোম্পানীটি যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানীর সাথে আলোচনা করছে এয়ারলাইন্সের বহর বাড়ানোর জন্য।
পরিসংখ্যান অনুসারে, প্যাসেঞ্জার অকুপেন্সীর হার গত বছরের চেয়ে এবার কিঞ্চিত হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া কোম্পানীর কার্গো বা মালামাল ও মেইল ট্রান্সফার পরিবহনের পরিমান বছর ওয়ারি বিচারে ২৬.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।