আইসিসি’র গ্রেফতারি পরোয়ানায় ইসরাইলের ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’ নিহিত

ইরানের রিভোলিউশনারি গার্ডস এর প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামী বলেছেন, ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা ইসরাইলের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটিয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত শুক্রবার প্রদত্ত এক বক্তব্যে তিনি এই মর্মে ঘোষনা করেন যে, গ্রেফতারি পরোয়ানা ইহুদীবাদী সরকারের অবসানকে চিহ্নিত করেছে। এটা ইসরাইলকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং এর নেতৃবৃন্দকে বিশ্বে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আইসিসি’র সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনী এবং লেবাননী প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর জন্য একটি ‘বড়ো বিজয়’ আখ্যায়িত করে তিনি আদালতের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।
এসব ওয়ারেন্ট বা পরোয়ানা অক্টোবরের হামলার পর গাজায় ইসরাইলী সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগসমূহ থেকে উদ্ভূত। কিন্তু ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এসব ওয়ারেন্টের নিন্দা জানিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ইহুদী বিরোধী বলে অভিযুক্ত করেছেন। এমনকি তিনি এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেছেন।
যা-ই হোক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ মানবাধিকার গ্রুপগুলো আইসিসি’র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এই ওয়ারেন্ট বা পরোয়ানা এজন্য তাৎপর্যপূর্ন যে, এটা নেতানিয়াহুর বিদেশভ্রমন সীমাবদ্ধ করে দেবে। আইসিসি’র চীফ প্রসিকিউটার করিম খান এসব ওয়ারেন্ট বা পরোয়ানা কার্যকরের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সদস্য নয়, এমন দেশসমূহকেও আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে লিথুনিয়া আইসিসি’র গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতি সম্মান দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, তারা গাজায় ইসরাইলী বর্বরতা, উপবাসকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার এবং অমানবিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে যৌক্তিক ভিত্তি খুঁজে পেয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button