ক্যালিফোর্নিয়ায় মুসলিম কলেজ শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ বৈষম্যের শিকার
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরীপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রায় অর্ধেক মুসলিম কলেজ শিক্ষার্থী হয়রানি কিংবা বৈষম্যের শিকার।
‘ক্যালিফোর্নিয়া চ্যাপ্টার অব দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশান্স’ (সিএআইআর অর্থ্যাৎ কেয়ার) এবং ‘সেন্টার ফর দ্য প্রিভেনশন অব হেইট এন্ড বুলিয়িং (সিপিএইচবি)’ এই জরীপটি পরিচালনা করে। ক্যালিফোর্নিয়ার ৮৭ টি সরকারী ও বেসরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২০ জন শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত এই জরীপে দেখা যায়, ২০২০ সাল থেকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইসলামোফোবিয়া সংশ্লিষ্ট আচরণ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লক্ষনীয় যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলার পর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালায়। এসব ঘটনা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসমূহে ইসলামোফোবিয়া উস্কে দেয়, বৃদ্ধি করে ফিলিস্তিন এবং আরব বিরোধী ঘৃনাসূচক তৎপরতা। এটা মুসলিম শিক্ষার্থীদের করে তুলে অরক্ষিত ও টার্গেটকৃত। কেয়ার এক বিবৃতিতে একথা বলেছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তাদেরকে উচ্ছেদ কিংবা নিয়ন্ত্রনের জন্য ইসলামোফোবিকরা উপর্যুপরি চেষ্টা চালায়।
সিপিএইচবি’র পরিচালক ওসমান খান এক বিবৃতিতে বলেন, নিপীড়িত ফিলিস্তিনী জনগনের পক্ষে দাঁড়ানো ও তাদের দুর্ভোগের বিষয়টিকে মানবিক রূপ দেয়ার কারনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম শিক্ষার্থীরা চরম ভীতি শংকার শিকার হন।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোনির্য়া’র শিক্ষাথী সামার বলেন, অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী তাদের কলেজ কমিউনিটিতে নি:সঙ্গবোধ করেন, বিশেষভাবে যারা ইসরাইলী হামলায় তাদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব হারায়। তিনি আরো বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে বসেই গাজায় তাদের স্বজনদের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা যে শুধু তাদের পরিবারের শোকে মুহ্যমান হন এমন নয়, নিজেদের কমিউনিটি থেকেও নীরবতা ও সহানুভূতিহীনতা লাভ করেন।