২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে রেকর্ড
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্সের (ওএনএস) পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ঋষি সুনাকের আমল সহ ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে নেট মাইগ্রেশন অর্থ্যাৎ মোট অভিবাসন রেকর্ড সংখ্যক ৯ লাখ ৬ হাজারে পৌঁছে। শেষ দিকে অর্থ্যাৎ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে লোকজনের আগমন ও দেশত্যাগের সংখ্যার ব্যবধান ২০ শতাংশ হ্রাস পায়। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৮ হাজার জনে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওএনএস’র এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সংশোধন বা পরিমার্জন শেষে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নেট মাইগ্রেশন বা মোট অভিবাসন উর্ধ্বমুখী। এটা প্রাথমিক ৭ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার বেশী। একইভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নেট মাইগ্রেশন প্রাথমিক হিসাবে ছিলো ৬ লাখ ৮৫ হাজার এবং এখন সংশোধিত হিসাবে ১ লাখ ৮১ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজারে।
হোম অফিসের পরিসংখ্যান অনুসারে, এসাইলাম বা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ সালে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫.৩৮ বিলিয়ন পাউন্ড। ২০২২-২৩ সালে যা ছিলো ৩.৯৫ বিলিয়ন পাউন্ড। অর্থ্যাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।
মাইগ্রেশন বা অভিবাসনে সাম্প্রতিক হ্রাসের নেপথ্যে কাজ করেছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবাকর্মীদের স্বজনদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার ওপর ঋষি সুনাকের নিষেধাজ্ঞার নীতি এবং একজন বিদেশী স্বামী/স্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে আনার জন্য স্পন্সরের আবশ্যকীয় বেতনসীমা বৃদ্ধিকরন।
জনৈক অভিবাসন থিংক ট্যাঙ্ক সুন্দর কাতওয়ালার মতে, স্টারমার নেট অভিবাসনের রেকর্ড লেভেল থেকে অব্যাহত পতনের দিকে নজর দেবেন। কিন্তু এখন তার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, অর্থনীতি, এনএইচএস, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও সোশ্যাল কেয়ারের জন্য মাইগ্রেশনের উপর ট্রেড অফ্সের ব্যবস্থাপনা।
তিনি বলেন, এটা অব্যাহতভাবে পরিলক্ষিত হবে, যদি অধিক সংখ্যায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আগমন নিয়ন্ত্রনে অগ্রগতি দৃশ্যমান না হয়, তবে জনগন ভিসার সংখ্যা হ্রাসের বিষয়ে কতটুকু গুরুত্ব প্রদান করে।