ঘৃণা ব্রিটিশ মুসলিমদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে

ব্রিটিশ রাজনৈতিক কর্মী ও মানবাধিকার আইনজীবী আমের আনোয়ার বলেছেন, আমাদের সমাজে এখনো ইহুদি বিরোধিতা বিদ্যমান। কিন্তু এক্ষেত্রে এখন ব্যাপকভাবে ইহুদিদের স্থান দখল করেছে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা। তিনি বলেন, মুসলিমদের লক্ষ্য করে গত গ্রীষ্মকালীন ব্যাপক অস্থিরতা বিগত বছরসমূহে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি প্রাপ্ত ইসলাম ফোবিয়া ফল।
আনোয়ার বলেন, তারা গির্জাগুলোকে কারণ দর্শাতে কিংবা ক্ষমা চাইতে বলেনা। কিন্তু যখন কোন মুসলিম একটি হামলার ঘটনায় জড়িত হয় তখন গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে দোষারূপ করা হয়।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের এক তৃতীয়াংশ মুসলিম দাঙ্গার পর দেশ ছাড়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ওই দাঙ্গাগুলোতে অগ্নিসংযোগ, বর্ণবাদী স্লোগান, সম্পত্তি ধ্বংস এবং মসজিদগুলোকে লক্ষ্যবস্ত করা হয়।
টেল মামার পক্ষ থেকে মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি সার্ভেশন এক জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা যায়, অস্থিরতার পর থেকে ব্রিটিশ মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই তৃতীয়াংশ ব্যক্তি বলেন, ৩০ জুলাইয়ের পর থেকে মুসলিম কমিউনিটির মাঝে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে বলে তারা মনে করেন। ওই সময় সাউথ পোর্ট নগরীতে দাঙ্গার সূচনা হয়।
এই মানবাধিকার আইনজীবীর অভিমত, যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত প্রকাশ্যে এটা মেনে নেয়া যে দেশে ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি বলেছি যে আমাদের সমাজে এখনও ইহুদি বিরোধিতা আছে। কিন্তু এর একটি ব্যাপক স্থান দখল করেছে মুসলিম বিরোধিতা।
তার মতে, যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন ঘটনায় মুসলিম কমিউনিটির উপর দোষ চাপানো হচ্ছে, মুসলিম বাসিন্দা ও মুসলিম আশ্রয়প্রার্থীদের টার্গেট বানানো হচ্ছে কোন সমস্যা হলেই। তিনি বলেন, হাউজিংয়ের ঘাটতি দেখা দিলে এজন্য দোষ দেয়া হচ্ছে মুসলিম আশ্রয়প্রার্থীদের। চাকরি গেলেও এজন্য দায়ী করা হচ্ছে মুসলিমদের। যদিও মুসলিমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে বসবাস ও কাজ করছে। তারা এখন উগ্র ডানপন্থীদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে।
তিনি এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন যে, আজ হোক বা কাল হোক কমিউনিটির সকল শ্রেণীর মানুষকে উগ্র ডানপন্থীদের আক্রোশের শিকার হতে হবে কারণ তাদের লক্ষ্য একই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button