ইসরাইলী অস্ত্র কারখানার সাথে যুক্তরাজ্যের ২.১ বিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি বাতিল
ইসরাইলী অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইলবিট সিস্টেমস’-ইউকে যুক্তরাজ্যের সাথে তার বৃহত্তম অস্ত্রচুক্তি হারিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে ২.১ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী এই চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় ইসরাইলের অস্ত্র নির্মাতা ইলবিট সাবসিডিয়ারি ইউএভি টেকটিকেল সিস্টেমের (ইউ-টেকস্) সাথে ওয়াচকীপার ড্রোন অর্থ্যাৎ পর্যবেক্ষক ড্রোন কর্মসূচী সংক্রান্ত চুক্তি করেছিলো। গত বুধবার পার্লামেন্টে দেয়া এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি জানান, ড্রোন বাতিলের বিষয়টি বড়ো ধরনের সামরিক ব্যয় হ্রাস ও পুরোনো ধাঁচের সরঞ্জাম পরিত্যাগের অংশ।
তিনি বলেন, এই হ্রাস বা কর্তনের ফলে পাঁচ বছরেরও বেশী সময়ব্যাপী যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে। ইলবিট ইউকে হচ্ছে যুক্তরাজ্যে ইসরাইলের বৃহত্তম অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানী, যা ফরাসী-ইসরাইলের যৌথ প্রতিষ্ঠান ইউএভি টেকটিকেল সিস্টেমসের (ইউ ট্যাকস্) সাথে কুড়ি বছর যাবৎ ওয়াচকীপার ড্রোন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে বহুবার প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের বিক্ষোভের শিকার হয়েছে। এতে গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গনের বেশ ক্ষয়ক্ষতি এবং কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের দাবি হচ্ছে, ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপ মান্দাতা আমলের অর্থ্যাৎ পুরাতন মডেলসমূহের পরিবর্তন বা পরিত্যাগ। যদিও ওয়াচকীপার ড্রোন গত মাত্র ৬ বছর যাবৎ সার্ভিসে আছে এবং এমওডি ২০২২ সালে এই বলে জোর দেয় যে, ওয়াচকীপারের ২০৪২ সালের পূর্বে মেয়াদোত্তীর্ণ বা পুরোনো হওয়ার কথা নয়।
ইউ-ট্যাকস্- এর সাইট বা এলাকায় ২০২১ সালের মে’র পর থেকে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের কর্মীরা প্রতিবন্ধকতামূলক কর্মসূচী চালায়, ঐ সময় সংস্থার ৪ জন কর্মী অস্ত্র কারখানার ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং কারখানাটি দখলে নিয়ে নেয়। তারা অনেকে ফ্যাক্টরীর ছাদে ৬ দিন অবস্থান করে। এরপর বিগত বছরগুলোতে তারা সেখানে অব্যাহত অভিযান চালিয়েছে। এর ফলে ফ্যাক্টরীতে কর্মকান্ড বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু ইউ-ট্যাকস্ বরাবরই ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করছে।