ত্রানকর্মীদের জন্য ভয়াবহতম বছর ২০২৪ সাল
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস ওসিএইচএ জানিয়েছে, ২০২৪ সাল ছিলো মানবাধিকার কর্মীদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বছর। এ বছর বিশ্বে ২৮১ জন মানবাধিকার কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক নতুন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইমার্জেন্সী রিলিফ কোঅর্ডিনেটর টম ফ্লেচার বলেন, মানবাধিকার কর্মীরা নজিরবিহীন হারে নিহত হচ্ছেন, তাদের সাহসিকতা ও মানবতার পুরস্কার দেয়া হচ্ছে বুলেট ও বোমায়।
তিনি আরো বলেন, এই সহিংসতা বিবেকহীন এবং ত্রান তৎপরতার প্রতি বিপর্যয়কর। গাজা যুদ্ধ হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩৩ জন মানবাধিকার কর্মী নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই নিকট প্রাচ্যে ফিলিস্তিনী শরনার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের ত্রান ও কর্ম সংক্রান্ত সংস্থার এইড ওয়ার্কার। সিকিউরিটি ডাটাবেজের সর্বশেষ এন্ট্রি অনুসারে, শুধুমাত্র চলতি মাসে গাজায় ১০ জন ন্যাশনাল স্টাফ নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার জেনেভায় প্রেস ব্রিফিংকালে মুখপাত্র জেনস লেইর্কে বলেন, আজ এই পরিসংখ্যান নি:সন্দেহে আমাদের মানবাধিকার সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে সাড়াদানকারীদের প্রথম সারিতে শোক প্রবাহ প্রেরণ করবে।
তিনি জানান, হতাহতদের অধিকাংশই জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের পক্ষে কর্মরত জাতীয় স্টাফ। এনজিও, রেড ক্রিসেন্ট ও রেডক্রসের কর্মীসহ ২৬৮ জন ন্যাশনাল স্টাফ ও ১৩ জন আন্তর্জাতিক স্টাফ নিহত হন।
মি: লেইর্কে আরো বলেন, সংঘাত বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হওয়ার ফলে মানবাধিকার কর্মীরা গাজার বাইরেও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা গাজা, সুদান, লেবানন, ইউক্রেইন ও অন্যান্য সংঘাতপূর্ন স্থানে সাহসিকতার সাথে নি:স্বার্থভাবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সাল এখনো পূর্ন হয়নি, কিন্তু এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা গত বছরের রেকর্ড মৃত্যু ২৮০ ছাড়িয়ে গেছে। আফগানিস্তান, কঙ্গো, দক্ষিন সুদান, ইউক্রেইন ও ইয়েমেন থেকে সহিংসতা, অপহরন, জখমকরন, হয়রানি ও আটকের উচ্চ মাত্রার ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে।