যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং বৈশ্বিক-আঞ্চলিক উত্তেজনা
অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর ব্যবসা এখন চাঙ্গা
শীর্ষ ১শ' কোম্পানির ৬৩২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি
যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং বৈশ্বিক-আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর ব্যবসা এখন চাঙ্গা। একদিকে ইউক্রেইন যুদ্ধ অপরদিকে গাজার সংঘাতের প্রেক্ষিতে বিশ্বের বড় বড় অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় গত বছর। এসব কোম্পানি মূলতঃ রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক অস্ত্র-প্রস্তুতকারী।
স্টক হোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের(সিপ্রি) পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে বিশ্বের ১০০ টি বড় বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানির অস্ত্র ও সামরিক পরিষেবা বিক্রয় ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ২০২২ সালে এসব কোম্পানির বিক্রয় ৩.৫ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার পর এই উত্থান ঘটেছে।
লক্ষণীয় যে, শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিসমূহের অস্ত্র বিক্রি ২০২৩ সালে রেকর্ড আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
বিশ্বে মোট অস্ত্র বিক্রির অর্ধেক টাকাই যায় এসব কোম্পানির একাউন্টে। বিশ্বের শীর্ষ ৬১ অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানির ৪১ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
এগুলোর মধ্যে লকহিড মার্টিন এবং আরটিএক্স, যা সাবেক রেইতিয়ন টেকনোলজিস্ট, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সিপ্রি এই মর্মে উল্লেখ করে যে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অস্ত্রের পেছনে ব্যয় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের পর এটা তীব্রতম বৃদ্ধি।
ইউরোপে ১০০ টি শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানির মধ্যে ২৭ টি বিদ্যমান। গড়ে এগুলোর বিক্রি বেড়েছে ০. ২ শতাংশ এবং সম্মিলিত বিক্রির পরিমাণ ১৩৩ বিলিয়ন ডলার।
তুর্কি ভিত্তিক তিনটি তুর্কি ডিফেন্স কোম্পানির সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় ২০২৩ সালে। এতে আয় হয় ৬ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানিগুলো হচ্ছে ড্রোন কোম্পানি বায়বাক্তার, আসেলসান ও টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ টিএআই।