তুরস্কের ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানী
তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও মহাশূন্য শিল্প খাত চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের সরঞ্জাম রফতানি করেছে। এটা বার্ষিক বিক্রির নতুন রেকর্ড। টার্কিশ এক্সপোর্টাস অ্যাসেমব্লি’র ডাটা অনুসারে এটা বার্ষিক হিসাবে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
গত ১২ মাসে এই খাতে পন্য রফতানি হয়েছে ৬.৪৮ বিলিয়ন ডলারের। ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি রেকর্ড ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। মূলত: কমব্যাট ড্রোন রফতানির ফলে এই অংক রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত হয়। ২০২২ সালে রফতানি হয়েছিলো ৪.৪ বিলিয়ন ডলারের সরঞ্জাম। ২০২৪ সালের শেষে এই রফতানির পরিমান ৭ বিলিয়নে পৌঁছবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারনা। শুধুমাত্র গত নভেম্বর মাসে তুরস্কের ডিফেন্স এন্ড অ্যাভিয়েশন ইন্ডাষ্ট্রি ৬৩৭ মিলিয়ন ডলারের সরঞ্জাম রফতানি করে। এর আগের বছরের তুলনায় এটা ৩২.৩ শতাংশ বেশী।
প্রেসিডেন্ট অব ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিজ এর প্রধান হালুক গরগুন বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্প অব্যাহতভাবে বিকশিত, উন্নত ও শক্তিশালী হচ্ছে আমাদের দক্ষ ও গতিশীল ইকো-সিস্টেম, এই খাতের পরীক্ষিত সিস্টেমগুলো ও চির বর্ধমান রফতানি সম্ভাবনা সাথে নিয়ে।
আমরা বিশ্বকে এটা প্রদর্শনে সক্ষম যে, তুরস্ক এখন বড়ো লীগগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড়। তিনি আরো বলেন, ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রি কোম্পানীসমূহের গোটা বিশ্বে রফতানি সক্ষমতা আছে। ২০২৪ সালে এসব কোম্পানী বিশ্বের ১৭৮ টি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করেছে।
এক সময়, তুরস্ক প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য বিদেশের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল ছিলো। বর্তমানে ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রির প্রায় সকল সরঞ্জামই তুরস্ক নিজেরই উৎপাদন করছে।
এক সময় দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য আবেদন জানিয়েও ন্যাটো মিত্র দেশগুলোর নিকট থেকে তা পর্যাপ্ত পরিমানে পায়নি।
বিগত দুই দশকের সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন খাতে তুরস্ক বহু বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে তুরস্ক ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রির ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা ৮০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে।