যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিয়ে ব্রিটেনের টানাপোড়ন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি পদে জয়লাভের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার এ ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন।
অনেকের মতে, নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের প্রেক্ষাপটে ব্রিটেনকে হয় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রাখতে হবে কিংবা তার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়তে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ঘটনা এমন নয়। ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ উভয়ের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক রক্ষনাবেক্ষন করে। নিরাপত্তা বিষয়ে উভয়ের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থের দাবি হচ্ছে, আমরা তাদের উভয়ের সাথে যেনো কাজ করি। সাধারন নির্বাচনে লেবার পার্টির বিজয়ের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসায় ব্লকটির সাথে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা শুরু করেছেন। এছাড়া ট্রাম্পের টিমের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের লক্ষ্যে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন মূর বলেন, যুক্তরাজ্যকে অধিকতর সমাদুসমাজতান্ত্রিক ইউরোপীয় অর্থনীতি এবং ফ্রি এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটেনের জন্য অধিকতর ভালো হবে যদি তারা মার্কিন মডেলের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়। আর যদি তা করে তবে, আমি মনে করি, এটা যুক্তরাজ্যের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহকে উজ্জীবিত করবে। অনেকের মতে, ২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর ইইউ’র সাথে নতুন বানিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা দরকার। চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব এক্সপোর্ট এন্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কো ফর্গিওন বলেন, যুক্তরাজ্য কি উভয় পক্ষের সাথে চলতে পারবে? হ্যাঁ, পারবে। তবে এটা কঠিন কাজ এবং এজন্য অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। ব্রিটেনের জনগনও চান স্টার্মার যেনো যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button