ফিলিস্তিনীদের জীবনের প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অবজ্ঞা
ব্রিটিশ ইহুদী অ্যাক্টিভিস্ট ডেভিড রোজেনবার্গ বলেছেন, এটা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ছদ্মাবরণে শিশুদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ। এটা ফিলিস্তিনী জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনী শিশুদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, গাজায় যা ঘটেছে তা গনহত্যা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তা অস্বীকার করা, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। রোজেনবার্গ আরো বলেন, ইসরাইল কারো অনুমতি ছাড়া বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবসায়ী ব্রিটেন ও জার্মানীর অনুমতি ছাড়া গাজায় যা করছে তা করতে পারতো না।
লক্ষনীয় যে, গাজায় ইসরাইলী হামলা চলছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলে অভ্যন্তরে হামলার ঘটনার পর থেকে। ইসরাইল গাজায় বোমা ফেলে ও গোলা নিক্ষেপ করে কমপক্ষে ৪৪ হাজার ২ শ’ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনী শিশু ও নারীরা এই বেপরোয়া নিষ্ঠুর ইসরাইলী হামলার ফল বহন করছে। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গনহত্যার অভিযোগ এনে তাদের অভিযুক্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট।
আদালতটি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত মাসে এই অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলো বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জামার্নীর বিরুদ্ধেও মামলা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেন, ইসরাইল গাজায় গণহত্যা করছে, তা তিনি বিশ্বাস করেন না। তার এই মন্তব্য লেবার পার্টির বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। লন্ডনভিত্তিক জুইশ সোশ্যালিস্টসেজ গ্রুপের অ্যাক্টিভিস্ট রোজেনবার্গ আরো বলেন, স্টার্মার ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় চলমান গনহত্যার বিষয়টি যে অস্বীকার করছেন, এতে তিনি অবাক হইনি। তিনি বলেন, এই দু’জনেরই বিশেষ ডানপন্থী দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। আমার কাছে এটা ফিলিস্তিনীদের জীবনের প্রতি তাদের অবজ্ঞার বহি:প্রকাশ।