তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়েছে?

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে? না-কি শুরু হয়নি? বিজ্ঞজনদের এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন জবাব রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ইতোমধ্যে এটা শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে অন্যারা অসম্মত হতে পারেন।
দাবি করতে পারেন যে, আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে অনেক দূরে আছি। আমি নিশ্চিত নই কতোজন লোক আমার সাথে একমত হবেন। কিন্তু আমার বিতর্কের বিষয় হচ্ছে এই যে, ক্ষুদ্র আকারে একটি বিশ্বযুদ্ধ চলছে, মূলত: একটি প্রক্সিযুদ্ধ হিসেবে। ভূমিতে যুদ্ধটি রাশিয়া এবং ইউক্রেইনের মধ্যে। কিন্তু নেপথ্যে ইউক্রেইনের পেছনে রয়েছে গোটা পাশ্চাত্য এবং পরোক্ষভাবে তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করছে, এর সাথে ব্যবহার করছে তাদের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও প্রচারনার মাধ্যমগুলো।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, রাশিয়া আগ্রাসনকারী, তাই তারা অপরাধী পক্ষ। এখনো খুব কম সংখ্যক লোকই রাশিয়াকে যুদ্ধে নামাতে পশ্চিমা দেশগুলোর উস্কানীর বিরোধিতা করবে। গত দুই বছর ধরে মার্কিনী ও ইউরোপীয়রা যা করেছে তার কথা না হয় বাদই দিলাম। সাম্প্রতিককালে পাশ্চাত্যের তৈরী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউক্রেইনকে দেয়া তাদের গ্রীন সিগন্যাল থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তারা যুদ্ধ শেষ করতে চায়না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো, প্রায় সব নেতা এটা নিশ্চিত করেছেন যে, তাদের ক্ষেপনাস্ত্রসমূহ রাশিয়াকে প্রত্যাহার করতে বল প্রয়োগ করবেন না এবং ইউক্রেইনকে যুদ্ধে জয়ী হতে সক্ষম করবেন না।
এটা বলাই বাহুল্য যে, ইউক্রেইনের উচিত তার ভূমি রক্ষার প্রচেষ্টা বাদ দেয়া। আগুনে ইন্ধন দেয়া এখনো ইউক্রেইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। যা-ই হোক, অপরদিকে, পাশ্চাত্য আমাদেরকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেনি যে, তারা শুধুই রাশিয়া থেকে ইউক্রেইনকে রক্ষা করতে চায় এবং যুদ্ধ বিস্তারে তাদের কোন পরিকল্পনা নেই। তারা এটা জানার মতো যথেষ্ট চৌকস যে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে পশ্চিমা ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হলে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং রুশ সরকারকে প্রচলিত পরমানু অস্ত্র ব্যবহারে উস্কানী দেবে কিংবা অন্তত: ইউক্রেইনে তাদের হামলা বৃদ্ধি করবে। -ইব্রাহীম কারাতাস

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button