সৌদী আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মারের সৌদী আরবে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রাক্কালে উভয় দেশের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের দিক স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। সৌদী আরবের গুরুত্বপূর্ন মিডিয়া আরব নিউজের মতে, সীমানা ছাড়িয়ে সৌদী আরব ও ব্রিটেন ইতোমধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ‘পাওয়ার হাউস’ অর্থ্যাৎ ‘শক্তির আধার’ হয়ে ওঠেছে গতিশীল উদ্ভাবন ও জ্বালানী, প্রযুক্তি ও টেকসই অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বৈশ্বিক দৃশ্যপটের নতুন রূপ প্রদানের মাধ্যমে।
২০১৮ সালে রাজ্য দু’টি একটি কেন্দ্রীয় প্লাটফর্ম হিসেবে বার্ষিক ইউকে-সৌদী স্ট্যাটেজিক পার্টনারশীপ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে। এর লক্ষ্য হচ্ছে, বিভিন্ন খাতে ‘সৌদী ভিশন-২০৩০’কে সমর্থনসহ তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা ও উন্নয়ন।
সৌদী বানিজ্যমন্ত্রী মজিদ আল কোরেশীর মতে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য ২০১৮ সালের পর থেকে এক তৃতীয়াংশেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে, মূল্যমানের দিক দিয়ে তা ৯৯.১২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। দেশ দু’টি ২০৩০ সাল নাগাদ দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যের পরিমান ৩৯.৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
কোরেশী বলেন, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি হয়েছে বানিজ্য বৃদ্ধি ও এর প্রবাহ। শুধুমাত্র ২০২২ সালে সৈৗদী অর্থনীতিতে ব্রিটিশ বিনিয়োগ ৫.৪ বিলিয়ন ডলারেরও উর্ধ্বে উন্নীত হয়। লক্ষনীয় যে, যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের ১১০০ সক্রিয় লাইসেন্স প্রদান, সৌদী আরবে গিগা প্রকল্পসমূহ ও পলিসি সংস্কার যুক্তরাজ্যে ব্যবসার সুযোগ সুবিধা জোরদারকরণের মতো উন্নয়ন প্রতীয়মান।
সৌদী আরবের বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেন, সৌদী আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের আবির্ভাব ঘটেছে। যার ইনভেস্টমেন্ট স্টক প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। সম্মেলনে উভয় দেশের অর্থনৈতিক অংশদারিত্বের প্রয়াস প্রতিফলিত হয়। এতে ২২০০ অর্থনৈতিক অংশীজন অংশ নেন যুক্তরাজ্য ও সৌদী আরব থেকে, যার মধ্যে সাড়ে ৪ শ’ ব্রিটিশ ব্যবসা মালিক ছিলেন। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত গ্রেট ফিউচারস্ ইনিশিয়েটিভ কনফারেন্সে মন্ত্রী এই বক্তব্য রাখেন।