তুরস্ক বিশ্বের ড্রোন মার্কেটের ৬৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে
জনৈক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তুরস্ক আনম্যানড্ এরিয়েল ভেহিকলের বৈশ্বিক মার্কেটের ৬৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেশটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্রোন প্রস্তুতকারী দেশ। সম্প্রতি ‘টেইক অফ ইস্তাম্বুল’ অনুষ্ঠানে ব্যাটল প্রোভেন কমব্যাট ড্রোনের ডেভলপার ‘বায়কার’ এর চেয়ারম্যান ও চিফ টেকনোলজি অফিসার বায়বাক্তার বলেন, বায়কার এককভাবে এই মার্কেটের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি আরো বলেন, গত তিন বছর যাবত বায়কার বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্রোন কোম্পানি।
বর্তমানে এটা তার প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন ড্রোন প্রস্তুতকারকদের তুলনায় তিনগুণ বৃহৎ। বায়কার তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের মুখচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চমানের ড্রোন রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম।
লক্ষনীয় যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর অভিযান এর পাশাপাশি আজারবাইজান ও উত্তর আফ্রিকায় ব্যবহৃত হওয়ার পর বায়রাক্তার টিবি-টু কমব্যাট ড্রোন অর্থাৎ যুদ্ধ ড্রোন বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
বায়রাক্তার আরো বলেন, বায়রাক্তার টিবি-টু বিশ্বে সর্বাধিক রপ্তানি হওয়া কমব্যাট ড্রোন। ২০২৩ সালে বায়কারের ৯০ শতাংশ রাজস্ব আসে বৈদেশিক মার্কেট থেকে। এ সময় তুরস্ক ১’৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে ড্রোন রপ্তানি করে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে আয় হয় ১.২ বিলিয়ন ডলার।
চলতি সনের আগস্টে কোম্পানিটি বিশ্বের ৩৪ টি দেশের সাথে চুক্তি করে বায়রাক্তার ড্রোন রপ্তানির জন্য। দশটি দেশ চুক্তি করে হেভী আকিনজি কমব্যাট ড্রোন ক্রয়ের জন্য।
উল্লেখ্য, বায়কার কোম্পানি তুরস্কের প্রথম মনুষ্যবিহীন ফাইটার জেট কিজিলেলমা ডেভেলপ করছে। ২০২২ সালে এর প্রথম ফ্লাইট হয় এবং বর্তমানে এটা বড় ধরনের উৎপাদনে গিয়েছে। দেশটির প্রথম এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার বায়রাক্তার টিবি-থ্রি ড্রোন গত মাসের সাফল্যের সাথে টেইক অফ করে এবং একটি যুদ্ধজাহাজে অবতরণে সক্ষম হয়।
বায়রাক্তার আরো জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বায়রাক্তার টিবি-থ্রি’র ব্যাপক উৎপাদন শুরু হয়েছে।