উন্নত সার্ভিস ও গুণগত মানের খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য নিয়ে রয়েল বেঙ্গল‘র যাত্রা শুরু

উন্নত সার্ভিস ও গুণগত মানের খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য নিয়েই হোয়াইটচ্যাপেলে রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্টে চালু হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করেছে। কমিউনিটির মানুষের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেই সংশ্লিষ্টরা রেস্টুরেন্টটি সাজিয়েছেন।
এ উপলক্ষে গতকাল ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্টে মিডিয়া লঞ্চিং অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রয়েল বেঙ্গল গ্রুপের ডাইরেক্টর নাসির আহমদ শাহীন, শরফরাজ শরফু, মঈনুল ইসলাম সোহাগ ও নিয়াজ মাহমুদ প্রমুখ।
মিডিয়া লঞ্চিংয়ে বলা হয়, ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে রেস্টুরেন্টের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এক সময় ব্রিকলেনকে বলা হতো কারি ক্যাপিটাল। ব্রিকলেনের দুই ধারে ছিলো অর্ধশতাধিক রেস্টুরেন্ট। কিন্তু আজ আর ব্রিকলেনের সেই জৌলুশ নেই। নানা কারণে রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে কারি ক্যাপিটাল ব্রিকলেন। তবে হোয়াইটচ্যাপেল এলাকা এখন ব্যবসা ক্ষেত্রে বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। সময়ের ব্যবধানে এখানে গড়ে ওঠছে রেস্টুরেন্টসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের আনাগোনা। হোয়াইট্চ্যাপেল এখন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি ব্যস্ততম এলাকা। স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক পার্মিট কিংবা ভিজিটর হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের প্রথম পছন্দের স্থান হচ্ছে হোয়াইটচ্যাপেল। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে যখন বাংলাদেশীরা যুক্তরাজ্য ভ্রমণে আসেন, তারা একটিবারের জন্য হলেও হোয়াটচ্যাপেল ঘুরে যেতে যান।
তাছাড়া এখানে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের অবস্থান। প্রতিদিন শতশত মানুষ নামাজ পড়তে, জানাজা পড়তে কিংবা অন্যান্য বিভিন্ন সেবা নিতে এই মসজিদে আসেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ, রামাদ্বানে তারাবিহ ও ঈদে হাজার হাজার মানুষ নামাজ পড়ে থাকেন। এসব মানুষের জন্য যে, সুন্দর পরিবেশে বসে হালাল খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আমরা সে কথা অনুভব করে আসছিলাম।
তাছাড়া, বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বিয়ে-শাদীসহ অনুষ্ঠানাদী আয়োজনের পরিমাণ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে বড়ছেনা অনুষ্ঠান আয়োজনের হল কিংবা ভেন্যূ। হোয়াইটচ্যাপেল এলাকা যেহেতু কমিউনিটির একটি কেন্দ্র বিন্দুতে রূপান্তরিত হয়েছে, তাই এখানে অনুষ্ঠানাদি আয়োজনে মানুষের আগ্রহও অনেক বেশি। তাই কমিউনিটির মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমরা চালু করেছি রয়েল বেঙ্গল হালাল বাফেট রেস্টুরেন্ট।
উন্নত সার্ভিস ও গুণগত মানের খাবার পরিবেশনই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে বলা হয়, হোয়াইচ্যাপেল এলাকায় আমরাই একমাত্র এইচ.এম.সি অনুমোদিত হালাল বাফেট রেস্টুরেন্ট। আমাদের রেস্টুরেন্টে প্রথমতলা ও নিচতলা মিলিয়ে ২২০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। নিচতলায় ১২০ জনের অনুষ্ঠানাদী করার সুব্যবস্থা রয়েছে। বিবাহ অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদ, ওয়ালিমা, বিয়ে বার্ষিকী, জন্মবার্ষিকী, কর্পোরেট মিটিং, কমিউনিটি সভা-সমাবেশ আয়োজনের সুব্যবস্থা রয়েছে। থাকছে আকর্ষণীয় স্টেজ ও উন্নত সাউন্ড সিস্টেম। প্রায় ৪০ পদের বাফেট সার্ভিস থাকছে । তাছাড়া ম্যানুতে থাকছে- ভুনা খিচুড়ি, ছই পিঠা, চাউলের রুটি, গরু মাংস, ঢাকার শাহী মোরগ পিলাউ, চট্রগ্রামের মেজবানীসহ বহু আইটেম। কমিউনিটির মানুষের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেই আমরা রেস্টুরেন্টটি সাজিয়েছি। আশাকরি, সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকবো।
রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্টের মিডিয়া লঞ্চিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রয়েল বেঙ্গল গ্রুপের ডাইরেক্টররা বলেন, আমাদের এই যাত্রায় আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতা পেলে রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্ট কমিউনিটির একটি মিলনকেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button