ইংল্যান্ডের এনএইচএস হাসপাতালগুলোর জরাজীর্ণ দশা
ইংল্যান্ডের হাসপাতাল ভবনগুলো বর্তমানে এতই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে এগুলোতে অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের মতে, এগুলো সম্পূর্ণ বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনএইচএস ট্রাস্টের অভ্যন্তরীণ ডকুমেন্ট থেকে এগুলো প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি এনএইচএস ট্রাস্ট মিটিং সমূহের অফিসিয়াল পেপারস থেকে দেখা যায়, হাসপাতালগুলোর অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে সৃষ্ট কী ধরনের বিপদের ঝুঁকির মধ্যে আছে রোগীরা। এনএইচএস কনফেডারেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ ম্যাথিও টেইলার বলেন, হেলথ ইস্টেটের অংশগুলো এমন ভাঙ্গাচোরা যে অনেক রুগীকে অনিরাপদ অবস্থায় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অনেক সময় বিপদজনক কেন্দ্রগুলোতে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এজন্য টেইলর স্বাস্থ্যসেবার ক্যাপিটাল বাজেটে দীর্ঘকাল ব্যাপী বিনিয়োগ ঘাটতিকে দায়ী করেছেন। বাজেট ঘাটতির কারণে হাসপাতাল ভবন ও সরঞ্জামাদি মেরামত ও প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য খাতের তুলনায় এনএইচএস মারাত্মক কম বরাদ্দ লাভ করেছে এ সময়।
এনএইচএস এর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে এনএইচএস স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর মেরামত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩.৮ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড উচ্চ ঝুঁকি মোকাবেলার কাজে প্রয়োজন হয়।
এই অর্থ এনএইচএস বাবদ বরাদ্দকৃত ক্যাপিটাল ফান্ডিং এর চেয়ে অনেক বেশি।
টেইলার আরো বলেন, ও ২০২৫ ও ২০২৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এনএইচএস এর প্রতি বছর অতিরিক্ত ৬’৪ বিলিয়ন পাউন্ড দরকার হাসপাতালগুলো ঠিকঠাক মতো পরিচালনার জন্য।
হাসপাতালের বোর্ড পেপার্স থেকে প্রতীয়মান হয় যে, স্টোকপোর্টের স্টেপিং হিল হসপিটালের অবস্থা এতই শোচনীয় যে এর ১৩ টি বিভিন্ন অংশকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে প্যাথলজি ইউনিট , মরচুয়ারি, ববি ম্যুর ক্যান্সার ইউনিট, চেস্ট ক্লিনিক, ডাটা সেন্টার ও ইলেকট্রিসিটি সাব স্টেশন । এছাড়া ডনকোস্টার ও ব্যাসোলো ট্রাস্টের পরিচালিত তিনটি হাসপাতাল বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে আছে। ট্রাস্ট এর কোল্ড ওয়াটার স্টোরেজ ট্যাংকগুলো এতই পুরোনো যে অবিলম্বে এগুলোর মেরামত প্রয়োজন। এসব ট্যাংকের পানিতে লিজিওলেনা নামক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেখা যাচ্ছে।