প্রতারকরা এনএইচএস’র ১শ’ মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছে
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রতারকরা এনএইচএস থেকে গত পাঁচ বছরে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছে। আইটি সিস্টেমের ত্রুটির কারণে এমন প্রতারনা সম্ভব হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড চুরি থেকে সাপ্লায়ারদের ই-মেইল হ্যাকিং করে এটা করা হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণার কবলে পড়ে জাতীয় সংস্থাটির যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা ২ হাজারেরও বেশী সিনিয়র নার্সের এক বছরের বেতন কিংবা ক্যান্সার রোগীদের জন্য প্রদত্ত ২০ হাজার রাউন্ড রেডিও থেরাপীর ব্যয়ের সমান।
বিশেষজ্ঞরা এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য কোন অজুহাতই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত বিস্তৃত হয়ে পড়া এনএইচএস এর উচিত প্রতারনা থেকে নিজেদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভালো ব্যবস্থা গ্রহন করা। গত ৫ বছরে ইংল্যান্ডের এনএইচএস ১০১ মিলিয়ন পাউন্ড খুইয়েছে প্রতারকদের খপপরে পড়ে। ওয়েস্টন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ২০২০ সালের ব্যাংক ম্যান্ডেট প্রতারনায় ৩০ হাজার ৬১৫ পাউন্ড হারিয়েছে। হ্যাম্পশায়ার হসপিটালস্ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ২০২১-২২ সালে ১০ হাজার পাউন্ডেরও বেশী হারিয়েছে। প্রতারকরা তাদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করে অনলাইন পার্চেজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।
ট্রাস্টটি জানিয়েছে, স্থানীয় কাউন্টার-ফ্রড স্পেশিয়ালিস্ট ও পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানীগুলো যুক্তরাজ্যের বাইরে থাকায় তার সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। সীমান্তের ওপারে চৌর্য্যবৃত্তি অপ্রতিরোধ্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। একজন স্বাধীন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট রিচার্ড ডি ভেরে বলেন, একবার অর্থ দেশের বাইরে চলে গেলে সেগুলো পুনরুদ্ধার প্রায় অসম্ভব কাজ, যদিও কিছু আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহায়তা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করে।
ডা: ও’সুলিভান বলেন, প্রতারনা কোন ভিকটিমবিহীন অপরাধ নয়। এনএইচএসকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে। মেডওয়ে এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট জানিয়েছে, প্রতারকেরা ৫ লাখ পাউন্ড প্রতারনা করে হাতিয়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।