যুক্তরাজ্যের জিডিপি তলানীতে

যুক্তরাজ্য লেবার সরকারের ভুল পদক্ষেপের দরুন একের পর এক বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে। অর্থনৈতিক পতন, চীনের হুমকি বৃদ্ধি এবং অব্যাহত যৌন কেলেংকারীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে দেশটি। জুলাইয়ের নির্বাচনের আগে বলা হতো যে, যুক্তরাজ্যের জিডিপি ২০০৭ এবং ২০২৩ এর মধ্যবর্তী সময়ে ৪.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বাস্তবে গত ১৬ বছরে তা বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে এর বৃদ্ধির হার ১৮২৬ সালের পর থেকে সর্বনিম।
১৮২৬ সালে লিভারপুলের ২য় আর্ল রবার্ট জেনকিনসন ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৮১২ সাল থেকে ১৮২৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার এই রেকর্ড কোন ইংলিশ ম্যান প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভাঙ্গতে পারেননি।
যদিও ইংল্যান্ড নেপোলিয়নিক যুদ্ধসমূহে জয়ী হয়েছিলো, তবুও দেশটিকে ঐ সময়ে যুদ্ধোত্তর মারাত্মক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ঐ সময়ে বহুল আলোচিত পিটারলু হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়।
রক্ষনশীল দল এখন অর্থনীতিকে এক ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাদের সময়ে ব্রিটেনের নীট ঋণ জিডিপি’র ১০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় ১৯৬১ সাল থেকে প্রথমবারের মতো। তবে এসব সত্বেও যখন রক্ষনশীলরা লেবারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে সে মুহূর্তে যুক্তরাজ্য ছিলো জি-সেভেন দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু একটি দেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন মৃতপ্রায়।
অনেকের ধারনা, ২০২৫ সালেই একটি মন্দা দেখা দিতে পারে। যুক্তরাজ্য এখন জি-সেভেন দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বর্ধিষ্ণু অর্থনীতি। শুধু ইতালির চেয়ে একটু ভালো অবস্থায় আছে এক্ষেত্রে।
গত অক্টোবরে জিডিপি ০.১ শতাংশ হ্রাস পায়। ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে মিডিয়ায় শিরোনাম হয়, ‘যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ২০২০ সালের পর এই প্রথম ব্যাক-টু-ব্যাক পতনের মুখে’।
ওএনএস এর অর্থনৈতিক পরিচালক লিজ ম্যাককিউন বলেন, অন্যান্য প্রাথমিক হিসাব নিকাশের তুলনায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি দুর্বল ছিলো চলতি বছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে। অতএব, এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে যে, যে ধারায় চলছে তা প্রত্যাশার চেয়েও খারাপ। অতীতের সময়ের যুক্তিসমূহ বাদ দিলেও লেবারের ভুল পদক্ষেপ এক্ষেত্রে একটি বড়ো ভূমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button