যুক্তরাজ্য প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন কোটিপতি হারিয়েছে
নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে, যুক্তরাজ্য প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন কোটিপতি হারিয়েছে। লেবার পার্টি ক্ষমতা আসার পর থেকে এমনটি ঘটেছে। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রীভস্ এর বিতর্কিত বাজেটের কারনে এটা হয়েছে, এমন অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর ব্রিটেন ১০ হাজার ৮শ’ মিলিওনেয়ার অর্থ্যাৎ কোটিপতি হারিয়েছে। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১৫৭ শতাংশ বেশী। এদের মধ্যে ৭৮ জন রয়েছেন যাদের প্রত্যেকের সম্পদের পরিমান ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী। এছাড়া রয়েছেন ১২ জন বিলিয়নেয়ার। তারা ব্রিটেন ত্যাগ করে মূলত: ইউরোপের অন্যান্য দেশসমূহে গেছেন। যেমন- ইতালী ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া অনেকে গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ‘নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ্’ কর্তৃক সংকলিত এই ডাটা বা উপাত্তে দেখা গেছে, সাধারন নির্বাচন ঘোষনার পর এই দেশত্যাগ দ্রুততর হয়। তখন থেকে ব্রিটেনে প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন ‘ডলার মিলিয়নেয়ার’ দেশ ছেড়েছেন। নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান আরএসএম ইউকে’র একজন ট্যাক্স পার্টনার র্যাচেল ডি সুজা বলেন, নন-ডমিসাইলদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযানও এই দেশত্যাগকে ত্বরান্বিত করেছে। অক্টোবরের বাজেটের আগে এটা ঘটেছে। অবশ্য এরপরই ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা দেশ ছেড়েছেন।
তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রেই পরোক্ষভাবে এসব উদ্যোক্তা বাজেট ঘোষনাকে এর কারন হিসেবে উল্লেখ করছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা র্যাচেল রীভস্ এর বাজেটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। ‘কোবরা বিয়ার’ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা লর্ড বিলিমোরিয়া বলেন, নিয়োগকৃতগন কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে জাতীয় বীমার ব্যয় বৃদ্ধি ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
গত মাসে রিক্রুটমেন্ট জায়ান্ট ‘রীড’ এর চেয়ারম্যান জেমস্ রীড ব্রিটিশ চ্যান্সেলর র্যাচেল রীভসকে ধারা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে এই বলে সতর্ক করে দেন : যখন একটি মন্দা অনুভূত হচ্ছে তখন আপনার বাজেট ব্যবসায়ীদের আতংকিত করেছে।