‘আমেরিকা ফার্স্ট’ মূলনীতি
হোয়াইট হাউসে ২য় বার ডোনাল্ড ট্রাম্প, নতুন বাঁকে বিশ্ব
প্রভাবিত হবে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি
শপথ গ্রহনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত হোয়াইট হাউসে ফিরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর তার এই ফেরা পালাবদলের নতুন বাঁকে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে শুরু হয় ট্রাম্পের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান। একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে পরের বার হেরে গিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। তাই ঐতিহাসিকভাবে এবারের অভিষেক ঘিরে কৌতুহলের সীমা নেই বিশ্বজুড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই বড় পরিবর্তন আসতে পারে। শুরুতেই তিনি তার ঘোষিত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ মূলনীতি বাস্তবায়ন শুরু করবেন। ট্রাম্পের এই এজেন্ডা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি তো পরিবর্তন করবেই, পাশাপাশি এর ফলে আমেরিকার সীমানার বাইরে বসবাস করা কোটি মানুষের জীবনও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে।
যথাযথ অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনি প্রচারণার একটি অন্যতম প্রধান অংশ। হোয়াইট হাউজে বসে প্রথম দিন থেকেই তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণ বিতাড়িতকরণ কর্মসূচী’ শুরু করবেন। ক্ষমতা গ্রহণের এক দিন আগে গতকাল রোববার ওয়াশিংটনে এক সমাবেশে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া এই মূল প্রতিশ্রুতিটি দ্রুত পূরণ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনাতে আয়োজিত ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বিজয় সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘কাল সূর্যাস্তের সময় থেকে আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ থামবে।’ এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই যে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব-অর্থাৎ জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের বিধান-সেই নীতিও পরিবর্তন করার লক্ষ্য আছে নতুন প্রেসিডেন্টের। নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি এমনও মন্তব্য করেছিলেন যে বেশ কিছু দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটকের আনাগোনাও নিষিদ্ধ করবেন তিনি। এর অনেকগুলো দেশই ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।ট্রাম্পের বিতাড়ন পরিকল্পনাগুলো অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তাঁরা বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। অভিবাসীদের পক্ষে সোচ্চার থাকা অনেকে বলছেন, এর মধ্যে এমন কিছু অভিবাসী আছেন, তাঁরা আইন মেনে চলেন, দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দা ও তাঁদের স্বামী/স্ত্রীর মার্কিন নাগরিকত্ব ও সন্তান আছে।