যুক্তরাজ্যে প্রতি ৫ জনে ১ জন মুসলিম নারী হেইট ক্রাইমের শিকার
‘মুসলিম উইমেন্স নেটওয়ার্ক ইউকে’র প্রধান ব্যারোনেস শায়েস্তা গহীর বলেছেন, গত বছর যুক্তরাজ্যে প্রতি পাঁচ জনে একজন মুসলিম নারী ‘হেইট ক্রাইম’ অর্থ্যাৎ ঘৃণাসঞ্জাত অপরাধের শিকার হয়েছেন। একটি জরীপ শেষে সংস্থাটির প্রধান, যিনি হাউস অব লর্ডসে একজন সদস্যও, ব্যারোনেস শায়েস্তা গহীর বলেন, যেহেতু বর্নবাদ ও ধর্মবিশ্বাসভিত্তিক অপরাধ উভয়ই জনগনের ক্ষতি করছে এবং বিদ্বেষ ও সহিংসতার জন্ম দিচ্ছে, তাই আইনের দৃষ্টিতে এগুলোর মোকাবেলা করা উচিত।
গহীর আরো বলেন, বিশেষ করে বিগত সরকারের কিছু রাজনীতিবিদের রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর একই সাথে অনলাইনে এধরনের বাড়াবাড়ি ও পাবলিক ভাষ্যকারদের বক্তব্য ‘জেন্ডার্ড ইসলামোফোবিয়া’র সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, আমি এটাকে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা হিসেবে ব্যাখ্যা করতে চাই, কারন যদি আপনি এসব স্ট্যাটাস আবার দেখেন তবে দেখবেন, অপকর্মকারীদের বড়ো অংশই পুরুষ, শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। শায়েস্তা গহীর ‘উইমেন এন্ড ইক্যুয়েলিটিজ’ কমিটিতে তার এ বক্তব্য তুলে ধরেন যাতে যুক্তরাজ্যে মুসলিম নারীরা যেসব নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন এগুলো বুঝতে সুবিধা হয়।
তিনি আরো বলেন, মুসলিম নারী ও বালিকারা সহজেই টার্গেট হচ্ছেন, কারন তারা হিজাব পরে থাকেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু রাস্তাঘাটেই নয় মুসলিম নারীরা অনলাইনেও হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন, এটা ক্রমশ: বেড়েই চলেছে।