বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনীদের পুনর্বাসন কি সমাধান?
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহনের পর পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কথা রেখেছেন এবং অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এসব সিদ্ধান্তের অনেকগুলোই আলোড়ন সৃষ্টিকারী। যার মধ্যে আছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্বন নি:সরন ম্যান্ডেট এবং দেশের ইতিহাসে কুখ্যাত হত্যাকান্ডের ডকুমেন্ট ও মহামারী মোকাবেলা সংক্রান্ত তদন্তের ডকুমেন্টসমূহ প্রকাশের আদেশ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যিনি তার ম্যান্ডেট কাউকে শাসনের ব্যাপারে শেয়ার করবেন না বলে ঘোষনা করেছিলেন, তিনি ওভাল অফিসে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গাজা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তিনি যুদ্ধবিরতির অব্যাহত থাকার বিষয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে বলেন: এটা আমাদের যুদ্ধ নয়, এটা তাদের যুদ্ধ। ট্রাম্প বলেন, তিনি গাজা পুনর্গঠনে সাহায্য করতে পারবেন না। তিনি বলেন, গাজা একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গা। এখানে কিছু চমৎকার জিনিস করা যাবে। তার এই বক্তব্য অনেককে আশান্বিত করে।
তবে এরপরে এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রদত্ত তার অপর একটি বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি’র সাথে কথা বলবেন। তিনি ফিলিস্তিনী শরনার্থী প্রসঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি বলেন, আপনারা সাড়ে ১০ লাখ লোকের কথা বলছেন এবং আমরা গোটা বিষয়টা পরিষ্কার করে ফেলবো। আব্দুল্লাহকে আরো শরনার্থী গ্রহনে তার ইচ্ছার কথা জানান। বলেন, আমি এখনই গোটা গাজা উপত্যকার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি এবং এটা একটি জগাখিচুড়ি অবস্থা, এটা আসলেই একটা জগাখিচুড়ি।
এ অঞ্চলে বহু শতাব্দির বিরোধের কথা স্বীকার করে ট্রাম্প এই মর্মে পরামর্শ দেন যে, আরব দেশগুলোতে ফিলিস্তিনী শরনার্থীদের পুনর্বাসন অস্থায়ী কিংবা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, গাজায় প্রায় সবই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লোকজন এখানে মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তাদের বাড়িঘর তৈরী করে দেয়া হলে তারা শান্তিতে নতুনভাবে বসবাস করতে পারবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, গাজার ফিলিস্তিনীদের বিভিন্ন দেশে নির্বাসন নিয়ে তার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠেছে।