ফিলিস্তিনীদের গাজা থেকে উচ্ছেদ জাতিগত নির্মূলের শামিল
ফিলিস্তিনীদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্কবানী উচ্চারন করেছে আরবলীগ। সংস্থাটি বলেছে, বাস্তুচ্যুতি, সংযুক্তকরণ কিংবা বসতি সম্প্রসারনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনী জনগনকে তাদের ভূখন্ড থেকে উৎপাটন অতীতের ন্যায় ব্যর্থ প্রমানিত হবে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা পরিষ্কার করা ও এর বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে নির্বাসিতকরণের একটি পরিকল্পনার পরামর্শ দেন। এর জবাবে আরবলীগ উপরোক্ত সতর্কবানী প্রদান করেছে।
এক বিবৃতিতে আরবলীগ বলেছে, জনগনকে তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক স্থানান্তর ও উচ্ছেদকে শুধুই ‘জাতিগত নির্মূল’ বলা যাবে। গত রোববার মিশর অত্যন্ত কঠোরভাবে ট্রাম্পের এই পরামর্শের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছে।
এক বিবৃতিতে কায়রোর পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ফিলিস্তিনী জনগনকে তাদের ভূমিতে সুদৃঢ় থাকার প্রতি অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেছে। মিশর বসতি নির্মাণ কিংবা ভূমি সংযুক্তকরণ, স্থানান্তরে অনুপ্রাণিত করা কিংবা নিজেদের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনীদের উচ্ছেদকরনের মাধ্যমে এর জনগনের ঐসব অধিকার রহিতকরনের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে।
অস্থায়ী কিংবা দীর্ঘ মেয়াদে এমন যে কোন পদক্ষেপের বিরোধী তারা। ১৫ মাসের যুদ্ধের পর ট্রাম্প বলেন, গাজা একটি ধ্বংস্তূপে পরিনত হয়েছে। গাজার লোকজনকে মিশর ও জর্ডান গ্রহন করলে তিনি আনন্দিত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, গাজার বাসিন্দাদের এই অপসারণ অস্থায়ী কিংবা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরাইলী-হামাস যুদ্ধ শুরু হলে মিশর ও জর্ডান উভয় দেশই গাজা থেকে ফিলিস্তিনীদের প্রতিবেশী দেশ মিশরে এবং পশ্চিম তীর থেকে জর্ডানে স্থানান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে আসছে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি উপর্যুপরি ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বাস্তুচ্যুতি ফিলিস্তিনীদের স্বাধীন রাষ্ট্রের ধারনাকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে কৃত। এল সিসি এমন সম্ভাবনা মিশরের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে উল্লেখ করেন। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় বলেছে, ফিলিস্তিনীদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদকরণ দুই রাষ্ট্র সমাধানকে অসম্ভব করে তুলবে।