ট্রাম্পের গাজা খালি করার প্রস্তাব নিন্দিত

জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ইউরো-ম্যাড রাইটস্ মনিটর’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা সংক্রান্ত বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি ট্রাম্প গাজা উপত্যকা পরিষ্কার করার এবং ফিলিস্তিনীদের জর্ডান ও মিশরে পুনর্বাসনের কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জনিয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, ইসরাইল কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে গাজায় ফিলিস্তিনী গনহত্যার পর ট্রাম্পের এধরনের বক্তব্য গভীর উদ্বেগজনক। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ফিলিস্তিনীরা ইতোমধ্যে ইসরাইল কর্তৃক নির্মূল অভিযানের বিপর্যয়কর প্রতিক্রিয়া ভোগ করছে, এখন তাদেরকে তাদের জন্মভূমি থেকে বলপূর্বক বিতাড়িত করা হলে আরো দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাদের।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, জবরদখলকারী শক্তি হিসেবে ইসরাইল একমাত্র সত্তা যাকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় সংঘটিত অপরাধের নৈতিক ও আইনানুগ দায় নিতে হবে এবং যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজার সংস্কার ও পুনর্গঠনে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। জবরদখলের অধীনে জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুতির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে চতুর্থ জেনেভা চুক্তিতে, এটা উল্লেখ করে সংস্থাটি আরো বলেছে, এধরনের যে কোন পরিকল্পনা এই চুক্তির একটি সুস্পষ্ট লংঘন হিসেবে গন্য হবে।
এতে বলা হয়, এধরনের পরিকল্পনাসমূহ ফিলিস্তিনী জনগনের তাদের মাতৃভূমিতে থাকার অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে লংঘিত করবে, এটা তাদের এমন একটি অধিকার যা আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত এবং এর বিরুদ্ধে কিছু করা মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধও বটে।
বিবৃতিতে গাজা উপত্যকা থেকে বাসিন্দাদের নির্বাসনের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অবস্থান অত্যন্ত জরুরী এবং আন্তর্জাতিক আইনকে সম্পূর্ন সমুন্নত রাখা ও ফিলিস্তিনীদের অধিকারের ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছার আহ্বান জানানো হয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।
ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই ধারনাকে ‘মহৎ ধারনা’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। অপরদিকে ইসলামিক জিহাদ সংগঠনটি ট্রাম্পের এই ধারনাকে বিপর্যয়কর বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, এটা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধকে উৎসাহিত করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button