লন্ডন হাউজিংয়ের ওয়েটিং লিস্ট এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ

লন্ডন কাউন্সিলস এর পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে লন্ডনের সোশ্যাল হাউজিংয়ের ওয়েটিং লিস্ট অর্থ্যাৎ অপেক্ষমাণ তালিকা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। লন্ডন কাউন্সিলসের সরকারী বিশ্লেষণ ডাটায় দেখা গেছে, ২০২৪ সালে রাজধানী লন্ডনের ৩২ টি বারাব্যাপী সোশ্যাল হাউজিংয়ের অপেক্ষমাণ তালিকায় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৬ টি গৃহস্থালী রয়েছে। এটা গত ১০ বছরেরও বেশী সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং ২০১৪ সাল থেকে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৪ টি।
জনৈক সরকারী মুখপাত্র এই সংখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন এবং ২০২৯ সাল নাগাদ ইংল্যান্ডে ১৫ লাখ বাড়ি নির্মানের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
পরিসংখ্যান অনুসারে, সোশ্যাল হাউজিংয়ের জন্য ওয়েটিং লিস্টে থাকা ইংল্যান্ডের গৃহস্থালীর মোট সংখ্যায় লন্ডনের গৃহস্থালীর সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ।
লন্ডনের ৩২ টি বারা কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বকারী লন্ডন কাউন্সিলস্ এবং সিটি অব লন্ডন একটি গৃহহীনতা সংক্রান্ত জরুরী অবস্থা জারি করেছে। বসবাসযোগ্য বাড়ির মারাত্মক ঘাটতির বিষয়টিকে মূল্য সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এতে।
সর্বদলীয় কমিটির বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, বর্তমানে লন্ডনের ১ লাখ ৮৩ হাজারেরও বেশী বাসিন্দা গৃহহীন। তারা তাদের স্থানীয় বারাসমূহের ব্যবস্থাপনায় অস্থায়ী বাসস্থানে বসবাস করছেন, যাদের সংখ্যা লন্ডনের বাসিন্দাদের প্রতি ৫০ জনে একজন।
কাউন্সিলগুলো তাৎপর্যপূর্ন আর্থিক সংকট ও হাউজিং ডেলিভারীর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বারাগুলো ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৮ অর্থবছরের মধ্যেকার সময়ে তাদের সোশ্যাল হাউজিংয়ের অর্থায়নে ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ব্ল্যাক হৌল বা কৃষ্ণ গহ্বরের সম্মুখীন। এর কারণ ব্যয়বৃদ্ধি এবং সোশ্যাল রেন্ট লেভেলে পূর্বতন সরকারের ক্যাপস বা শেষ সীমারেখা। বারাগুলো দৈনিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ও করছে অস্থায়ী বাসস্থানের জন্য, যা গত বছর ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লেবার কাউন্সিলর গ্রেস উইলিয়ামস বলেন, লন্ডন ক্রমশ: সাধ্যসীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। এখানে সোশ্যাল হাউজিংয়ের তীব্র প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button