তুরস্কের বানিজ্য ঘাটতি কমেছে ২২.৭ শতাংশ

তুরস্কের বৈদেশিক বানিজ্য ঘাটতি গত ২০২৪ সালের তুলনায় ২২.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রফতানি বেড়েছে এবং আমদানি কমেছে। টার্কিশন স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট (টার্কস্ট্যাট) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তুরস্কের বানিজ্য গ্যাপ ছিলো ১০৬.৩ বিলিয়ন ডলার। তা এখন ৮২.২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
২০২৪ সালে রফতানি ২.৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬১.৮ বিলিয়ন ডলার। আর আমদানি কমে তা দাঁড়ায় ৩৪৪ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর ডিসেম্বরে বানিজ্য ঘাটতি বছর ওয়ারি ৪৩.৯ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৮.৭৮ বিলিয়ণ হ্রাস পায়। আর রফতানি বছর ওয়ারি ২.১ শতাংশ অর্থ্যাৎ বেড়ে ২৩.৪ বিলিয়নে উন্নীত হয়। ডিসেম্বরে আমদানি ১০.৯ শতাংশ বেড়ে ৩২.২ বিলিয়নে দাঁড়ায়।
তুরস্কের ট্রেজারি এন্ড ফাইন্যান্স মিনিস্টার মেহমেত সিমসেক বলেন, আমাদের বৈদেশিক বানিজ্য ঘাটতি ২৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে। গত বছর তুরস্কের রফতানির প্রধান গন্তব্য ছিলো জার্মানী। এর পরের অবস্থান ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের। চীন ছিলো তুরস্কের আমদানির প্রধান দেশ। তুরস্ক চীন থেকে ৪৪.৯ বিলিয়ন ডলারের পন্য আমদানি করে। এর পরের অবস্থানে আছে রাশিয়া ও জার্মানী।
পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২৪ সালের আফ্রিকার দেশগুলোতে ২০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রফতানি করে তুরস্ক। গত বছর এসব দেশে রফতানির পরিমান বছর ওয়ারি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গত বছর দেশটি ৫৬ টি আফ্রিকান দেশে পন্য রফতানি করে, যা মোট রফতানির ৭.৪ শতাংশ। মিশরে রফতানি করা হয় সবচেয়ে বেশী পরিমান পন্য, যার পরিমান ৩.৫ বিলিয়ন, লিবায়ায় রফতানি করা হয় ২.৫ বিলিয়ন ডলারের পন্য।
রফতানি পন্যের মধ্যে রাসায়নিক ও রাসায়নিকজাত পন্যই সবচেয়ে বেশী। যার পরিমান ৩.১ বিলিয়ন ডলার। এরপরে আছে শস্য, ডাল, তৈলবীজ, যার পরিমান ২.৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ২ বিলিয়ন ডলারের ইস্পাত, ১.৪ বিলিয়নের অটো ইন্ডাষ্ট্রি পন্য এবং ১.৩ বিলিয়ন ডলারের ইলেক্ট্রিসিটি ও ইলেক্ট্রোনিক্স পন্য রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ৫০ বার আফ্রিকার দেশগুলোতে সফর করেছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button