অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলা হবে

২০১৭ সালে অগ্নিকান্ডে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রেনফেল টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এই ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারটি রেখে দেওয়া ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হবে বিবেচনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্নিত অগ্নিকান্ডে ৭২ জন লোক নিহত হন। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের স্বজনরা এবং অগ্নিকান্ড থেকে বেঁচে যাওয়া টাওয়ারের বাসিন্দারা সেই ঘটনার দু:সহ স্মৃতি বহন করে চলেছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ হাউজিং মন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার নিহতদের স্বজন ও বেঁচে যাওয়া লোকজনকে গ্রেনফেল টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
কিছু শোকাহত স্বজন ও জুনের এই অগ্নিকান্ড থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের দাবি, তাদের বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
তাদের জনৈক মুখপাত্র বলেন, অ্যাঞ্জেলা রেইনার কোন যুক্তি দেখাতে পারেননি কেনো টাওয়ারটি ধ্বংস করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কতো জন শোকার্ত স্বজন ও বেঁচে যাওয়া লোক চার সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে তার সাথে কথা বলেছেন, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান হাউজিং মন্ত্রী।
মিসেস রেইনার তার এই প্রতিশ্রুতির বিষয় নিশ্চিত করেন যে, টাওয়ারের কমিউনাল এরিয়াগুলো কিংবা এর অংশবিশেষ যত্ন সহকারে অপসারিত করা হবে এবং কমিউনিটি চাইলে এখানে স্মৃতিসৌধ হিসেবে টাওয়ারের কিছু অংশ রেখে দেয়া হবে। আগামী জুনে দুর্ঘটনার ৮ম বার্ষিকীর আগে কোন পরিবর্তন ঘটবে না টাওয়ারের।
অগ্নিকান্ডের পর থেকে টাওয়ারে একটি বিশাল সবুজ হৃদয় চিহ্নে ‘আমাদের হৃদয়ে রবে চিরদিন’ কথাটি অংকিত একটি কাভার পড়ে আছে। সাবেক হাউজিং মন্ত্রী মাইকেল গৌভ গত শুক্রবার অগ্নিকান্ডের ব্যাপারে ন্যায় বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য মন্ত্রীবর্গ ও অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেন, এই বিপর্যয়ের শিকাররা অবশ্যই আমাদের মানসপটে বিদ্যমান থাকবেন।
বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা বলেছেন যে, সময়ের ব্যবধানে একসময় টাওয়ারের অবস্থা খারাপ হবে এবং এটাকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করার প্রচেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়।
২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারের উপরিভাগ আবহাওয়ার কারনে আরো শোচনীয় হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button