প্রতিবেশী দেশগুলোতে তুরস্কের রেকর্ড ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি
টার্কিশ স্ট্যাটিসটিক্স ইনস্টিটিউট (টার্কস্ট্যাট) সাম্প্রতিক এ পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, তুরস্ক ২০২৪ সালে রেকর্ড ৩৪.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে তার প্রতিবেশী দেশসমূহে, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৭.৪ শতাংশ বেশী। তুরস্ক তার প্রতিবেশী আজারবাইজান, বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং গ্রীসে এসব পণ্য রফতানি করেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহে রফতানির দৃঢ় অবস্থান রয়েছে দেশটির। বিশেষভাবে বুলগেরিয়া ও গ্রীসে রফতানির পরিমান সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
এ দু’টি দেশে বার্ষিক রফতানি বৃদ্ধি ছিলো সর্বোচ্চ। বুলগেরিয়ায় ২১.৯ শতাংশ এবং গ্রীসে ১৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এর আগের বছরের তুলনায়। ২০২৩ সালে প্রতিবেশী দেশগুলোতে তুরস্কের রফতানির পরিমান ছিলো প্রায় ৩১.৯ বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের রফতানি বিবেচনায় ইরাকের অবস্থান প্রথম, যা ১৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। এর আগের বছরের অর্থ্যাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২.২ শতাংশ বেশী। এর পরের অবস্থান বুলগেরিয়ার, যেখানে রফতানি হয়েছে ৫.২ বিলিয়ন ডলারের পন্য। এরপরে রয়েছে গ্রীস, যে দেশে রফতানি হয়েছে ৩.২ বিলিয়ন ডলারের পন্য। সর্বশেষে ইরানে রফতানি হয়েছে ৩.২ বিলিয়ন ডলারের পন্য।
লক্ষনীয় যে, গত বছর আজারবাইজানে রফতানি প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যার পরিমান দাঁড়ায় ৩.১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া জর্জিয়াতে রফতানি হয় ২.৭ বিলিয়ন ও সিরিয়ায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের পন্য। বার্ষিক বিচারে সিরিয়ায় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৫ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশগুলোতে রফতানিকৃত তুর্কী পন্যসমূহের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে খনিজ জ্বালানী, তেল এবং এগুলোর পরিশ্রুত সামগ্রী।
৭ টি প্রতিবেশী দেশে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের এসব পন্য রফতানি করেছে। এছাড়া ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বয়লার, মেশিনারি, মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং পরমানবিক চুল্লী ও এর যন্ত্রপাতি রফতানি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বৈদ্যুতিক মেশিনারি ও যন্ত্রপাতিও রফতানি হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
এই পরিসংখ্যানে আজারবাইজানের অফিশিয়াল ডাটা অন্তর্ভূক্ত হয়নি। এছাড়া তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সরাসরি অফিশিয়েল স্থল বানিজ্য না থাকায় আর্মেনিয়ায় রফতানির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।