সাবেক ব্রিটিশ বিচারকের অভিমত: গাজায় গণহত্যামূলক আচরন করেছে ইসরাইল

যুক্তরাজ্যের সুপ্রীম কোর্টের একজন সাবেক বিচারক গাজায় ইসরাইলের হামলাকে ‘ব্যাপক অসমানুপাতিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সেখানে অন্তত একটি তর্কযোগ্য বিষয় বিদ্যমান যে, সেটা ছিলো গনহত্যামূলক। যুক্তরাজ্যের এই সাবেক বিচারক লর্ড সাম্পশন দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত বছর সরকারকে লিখিত এক পত্রে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করছে। এই পত্রে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে লেবার সরকার ইসরাইলে অস্ত্র রফতানির কয়েকটি লাইসেন্স স্থগিত করে। তবে এফ-৩৫ জেট এর যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি এর ব্যতিক্রম হিসেবে রাখা হয়, যা বিতর্কিত ও আদালসমূহে বিচারাধীন। সাম্পশন তার সদ্য প্রকাশিত ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ডেমোক্রেসী: অ্যান্ড দ্য রুল অব ল’ শীর্ষক গ্রন্থে বাক স্বাধীনতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি ফিলিস্তিনীদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশের স্বাধীনতার উপর জোর দিয়েছেন।
বর্নিত পত্রে স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়ে তার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে সাম্পশন বলেন, আমি মনে করেছিলাম এবং এখনো মনে করি যে, গাজায় ইসরাইলী আচরন অসমানুপাতিক এবং এর মধ্যে গনহত্যার অভিপ্রায় থাকায় এটাকে কেউ এর উর্ধ্বে কিছু বলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি যে, ফিলিস্তিনীদের সমর্থকদের ইউরোপীয় বিচার আদালতে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে, বিশেষভাবে জার্মানীর কথা উল্লেখ করা যায়। দেশটিতে ফিলিস্তিনীদের সমর্থন দমনে সরকারী পদক্ষেপের বিষয়টি লক্ষনীয়। ফিলিস্তিনীদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোরতা থেকে প্রতীয়মান হয় যেনো ফিলিস্তিনীকে সমর্থন করা অন্যায়। তবে আমি মনে করি না, তা অন্যায়।
সাম্পশন তার উক্ত গ্রন্থে এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ব্রিটেনের গনতান্ত্রিক ভবিষ্যত বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত। কারন ক্রমবর্ধমান ‘সোসাইটাল পোলারাইজেশন’ ও ‘মোরাল এবসলিউটিসম’ সহানুভূতির সিদ্ধান্ত গ্রহনের পক্ষে সমর্থনকে ক্ষয়িষ্ণু করে তুলতে কাজ করছে। এর বিপরীতে কর্তৃত্ববাদকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ব্রিটেনের সাম্প্রতিক রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনসন ও লিজ ট্রাসের পতন থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো থেকে ভালো ছিলো এবং এখনো ভালো আছে। কারন ঐসব দেশে প্রেসিডেন্টের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা পুঞ্জিভূত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button