ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছে ইইউ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাহী আদেশ প্রদানের তীব্র নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ’র মতে, ট্রাম্পের এ ধরনের পদক্ষেপ আদালতের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত এবং বৈশ্বিক বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষুন্ন করবে।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার স্বাক্ষরিত আদেশে হেগভিত্তিক এই আদালতকে অভিযুক্ত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলী কর্মকর্তাগন কর্তৃক যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে আদালতের তদন্ত সংক্রান্ত পদক্ষেপ অবৈধ ও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেন।
এই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে আইসিসি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং আদালতকে সহায়তাকারী যে কোন ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ। এটা ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রত্যক্ষ জবাব। গাজার উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে আইসিসি তাদের অভিযুক্ত করেছে।
গত শুক্রবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইয়েন ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইউরোপের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আইসিসি আন্তর্জাতিক অপরাধের জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা প্রদান করে এবং বিশ্বব্যাপী ভিকটিমদের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। আদালতকে অবশ্যই বৈশ্বিক দায়মুক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে লড়াইয়ে সক্ষম হতে হবে। ইউরোপ সর্বদা ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি অ্যান্টোনিও কস্তা ঐসব সেন্টিমেন্টের প্রতিধ্বনি করে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে আদালতের স্বাধীনতার প্রতি সরাসরি হুমকি বলে উল্লেখ করেন। কস্তা বলেন, আইসিসি’কে নিষেধাজ্ঞা প্রদান আদালতের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে,ফেলবে আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে খর্ব করবে। লক্ষনীয় যে, আইসিসি আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং গাজায় ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছে।
কস্তা সম্প্রতি আইসিসি সভাপতি বিচারক তমোকো আকানের সাথে সাক্ষাত শেষে বলেন, আইসিসি বিশ্বের সবচেয় ভয়াবহ কিছু অপরাধের ভিকটিমদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য একটি আবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করছে।