ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাব নিয়ে আরব দেশসমূহের সম্মেলন ২০ ফেব্রুয়ারী

সৌদী আরব আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী চারটি আরব দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে একটি সম্মেলন আয়োজন করবে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গাজার সংযুক্তি বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মিশর, জার্ডন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবন্দ এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। একই বিষয়ে সপ্তাহ খানেক পরে কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের প্রাক্কালে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, এতে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও যোগদান করবেন।
সম্প্রতি গাজা উপত্যকাকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রস্তাবে ২০ লাখেরও বেশী ফিলিস্তিনীকে ইসরাইল কর্তৃক বিধ্বস্ত গাজা অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত করে মিশর কিংবা জর্ডানের মতো দেশে প্রেরণের কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই প্রস্তাব করেন।
ফিলিস্তিনীদের জোরপূর্বক গণহারে বিতাড়নের এই আইডিয়া ক্ষুব্ধ আরব দেশগুলোর মাঝে নজিরবিহীন ঐক্য সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনীদের পূর্বপুরুষদের ১৯৪৮ সালের বিতাড়ন বা বাস্তুচ্যুতি ‘নাকবা’ অর্থ্যাৎ বিপর্যয় হিসেবে স্মরনীয় হয়ে আছে। ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টির সময় এই বলপূর্বক বিতাড়ন বা নাকবা সংঘটিত হয়।
অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, মিত্র দেশ জর্ডান ও মিশর যদি তার এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে, তবে তিনি দেশ দু’টিকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেবেন। ইতোমধ্যে ২০ লাখেরও বেশী ফিলিস্তিনী শরনার্থী জর্ডানে বসবাস করছে। দেশটির ১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভূত নাগরিক। অপরদিকে মিশর গাজা পুনর্গঠনের একটি নিজস্ব প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে, যে পরিকল্পনায় এ অঞ্চলে ফিলিস্তিনীদের বসতি রেখেই গাজার পুনর্গঠনের কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আরব দেশগুলোর সরকারসমূহ থেকে গাজা বিষয়ে নতুন প্রস্তাব শোনার জন্য গভীরভাবে আগ্রহী। অবশ্য বর্তমান সময়ে একমাত্র পরিকল্পনাটি তারা পছন্দ নাও করতে পারে, তবে একমাত্র পরিকল্পনা হচ্ছে ট্রাম্পের পরিকল্পনা। গত জানুয়ারী মাসে রুবিওর পূর্বসূরী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গাজা যুদ্ধোত্তর একটি রোডম্যাপ উল্লেখ করেন এবং ইসরাইলকে একটি ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের পন্থা গ্রহনের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button