কাউন্সিলের সিসিটিভি ইউনিটের নজরদারিতে থাকবে পুরো এলাকা
শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের প্রস্তুতি
সকলের সহযোগিতা চাইলেন নির্বাহী মেয়র • পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, এনফোর্সমেন্ট অফিসার ও ভলান্টিয়ার্সরা থাকবেন দায়িত্বে
অমর একুশে ফেব্রুয়ারী প্রথম প্রহরে হোয়াইটচ্যাপেল রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২ সালে ঢাকায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের ভাব গাম্ভির্যের সাথে প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান।
একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাহী মেয়র এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শহীদদের স্মরণ করা এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে যথাযথ ভাবগম্ভীর পরিবেশ বজায় রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিল, মেট পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদাররা বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনার এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বরাবরের মত এবারও বিপুল সংখ্যক মানুষ শ্রদ্ধার সাথে ভাষার জন্য জীবন দানকারী শহীদদের স্মরণ করবেন তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র অমর একুশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত গৌরবের। এই দিবসটি শুধু বাংলা ভাষিদের কাছে নয়, সব ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের কাছেও সমান মর্যাদার সাথে বিবেচিত হয়। অমর একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষেত্রে যাতে সর্বাবস্থায় এর মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকে, সে ব্যাপারে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, আমাদের সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা শহীদদের প্রতি অন্য ভাষাভাষি মানুষকেও শ্রদ্ধাশীল করবে।
মেয়র আরও বলেন, আমাদের যে কোন রাজনৈতিক মতদ্বৈততাকে সরিয়ে রেখে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো এবং দিবসের ভাবগাম্ভির্যতা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মেট পুলিশের ডিটেক্টিভ সুপারেন্টেন্ডেন্ট ভিকি টানস্টল এবং কাউন্সিলের কমিউনিটিজ বিষয়ক ডিরেক্টর সায়মন বাক্সটার।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে অর্থাৎ একুশের প্রথম প্রহরে আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সহ অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট অফিসার ও ভলান্টিয়ার্সরা দায়িত্ব পালন করবেন। কাউন্সিলের সিসিটিভি ইউনিটের নজরদারিতে থাকবে পুরো এলাকা। সর্বসাধারণের নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান আয়োজন নিশ্চিত করতে অংশীদারদের সাথে মিলে টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মেট পুলিশের ডিটেক্টিভ সুপারেন্টেন্ডেন্ট ভিকি টানস্টল বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলতাব আলী পার্ক এবং এর আশেপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। বিশেষ এই দিনে শহীদ মিনারে এসে সবাই যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব।
তিনি ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায়ে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ঐতিহাসিক সেই ঘটনা এখন আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে। দিবসটির মর্যাদা রক্ষায় সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।