‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করা হয়েছিল’

অর্ধশতাধিক মামলার সব ক’টি থেকেই অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ মামলার অপর সাত আসামিকেও খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
সর্বশেষ নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পাওয়ার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ইলেভেনের সময় ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দায়ের করা অর্ধশতাধিক মামলার সব ক’টি থেকে খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছেন বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, কোনো সাক্ষী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এই পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করা হয়েছিল।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই নাইকোর সঙ্গে চুক্তি করা হয়। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে আন্তর্জাতিক সেই চুক্তি বলবৎ রাখেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নাইকোর দুর্নীতির ঘটনায় শেখ হাসিনার নামে একটি মামলা দায়ের করে। পরে খালেদা জিয়ার নামেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলার মূল দায় বা অভিযোগ ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি কৌশল করে তার মামলাটি বাতিল করে নিয়ে গেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও নানা কৌশলে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার লক্ষ্যে মামলাটি চলমান রাখেন। খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। এমনকি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারও করেননি।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, জিয়া উদ্দিন জিয়া, হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া, আবদুল খালেক মিলন, হাফিজ হারুন অর রশীদ খান মিজান, আবুল কালাম খান, হান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button