ইসরাইল আবার গাজায় ত্রাণ সামগ্রীর প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে

ইসরাইল গাজায় খাদ্যসহ অন্যান্য সকল ত্রান সামগ্রীর প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। পূর্বে হামাসের সাথে যুদ্ধের সময়কার গৃহীত পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি করেছে এর মধ্যে দিয়ে।
জাতিসংঘ ও ত্রান সরবরাহকারী অন্যান্য সকল সংস্থা ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে এবং এটাকে আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন বলে উল্লেখ করেছে। সৌদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় বলেছে, এটা নিপীড়নের একটি হাতিয়ার। ‘সামগ্রিক শাস্তিদানের একটি বেপরোয়া কর্ম’ বলেছে অক্সফাম। প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশর অনাহারে রাখাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে।
লক্ষনীয় যে, গাজা যুদ্ধব্যাপী এর ২০ লক্ষাধিক জনগনের ওপর ‘না খাইয়ে রাখা’ ছিলো একটি ইস্যু। কিছু ত্রান বিশেষজ্ঞ তখন দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দেন। এখন অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে গত ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্যে।
এখন ইসরাইল হামাসকে চাপ দিচ্ছে যুদ্ধ বিরতির প্রথম দফা বর্ধিত করার জন্য, যাকে নেতানিয়াহুর সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব বলে বর্ননা করেছে। জটিল দ্বিতীয় দফা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবের পরিবর্তে প্রথম দফার সময়সীমা বৃদ্ধি চাইছে ইসরাইল। দ্বিতীয় দফায় গাজা থেকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাস কর্তৃক জিম্মি মুক্তির কথা রয়েছে। যুদ্ধবিরতির কয়েক মাস আগে, অনেক ফিলিস্তিনী খুব সামান্য খাবার গ্রহন করেছে। গার্বেজে খাবার খুঁজেছে, এমনকি খাদ্যের অভাবে উদ্ভিজ্জ লতাদি খেয়ে জীবনধারন করেছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা কার্যকর হয় গত ১৯ জানুয়ারী এবং গাজায় ত্রান সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি পায়। প্রতিদিন গড়ে ৬শ’ ত্রানবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। প্রথম রমজানের ইফতারের কয়েক ঘন্টা পর ইসরাইল ত্রান সামগ্রীর প্রবেশ বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button