ব্রিটেনে কর্ম ও শিক্ষা বাইরে থাকা তরুনদের সংখ্যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্সের (ওএনএস) এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০ লাখ তরুণ ব্যক্তি বর্তমানে শিক্ষা চাকুরী কিংবা প্রশিক্ষনে নেই। আর এই সংখ্যা গত এক দশকেরও বেশী সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৯ লাখ ৮৭ হাজার লোক ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অবস্থায় ছিলেন। এটা সকল গ্রুপের ১৩.৪ শতাংশ। এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটা ১.৩ শতাংশ বেশী।
এর আগে ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে শিক্ষা, চাকুরী কিংবা প্রশিক্ষনের বাইরে ছিলো উচ্চ সংখ্যক তরুন। ঐ সময়ে তাদের সংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অবস্থায় থাকা নারীর সংখ্যা ছিলো ৫ লাখ ৪২ হাজার এবং পুরুষের সংখ্যা ছিলো ৪ লাখ ৪৫ হাজার। ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের প্রায় ৪ লাখ ছিলো বেকার, যা এর আগের বছরে ছিলো ৮ লাখ ৪ হাজার। আর ৫ লাখ ৯৫ হাজার ছিলেন অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়।
টীচ ফার্স্ট এর প্রধান নির্বাহী রাসেল হবি এই পরিসংখ্যানকে ‘বেদনাদায়ক’ উল্লেখ করে বলেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের অনগ্রসর শ্রেনীর তরুন লোকজন।
তিনি সবচেয়ে বেশী অনগ্রসর শ্রেনীর ভাগ্য পরিবর্তন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা স্কুলগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেগুলোকে অবশ্যই অর্থায়নে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে বলে জোর দেন। টিইউসি’র (টাক) মহাসচিব পল নোওয়াক বলেন, প্রত্যেক তরুন ব্যক্তি তাদের কর্মজীবনের চমৎকার শুরু লাভের দাবি রাখে। তবে রক্ষনশীলদের আমলে অধিকতর সংখ্যক তরুন লোকজন তাদের কর্ম কিংবা প্রশিক্ষনের বাইরে চলে যায়। এতে তাদের ভবিষ্যত সুযোগ সুবিধাদি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সঠিকভাবেই পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে এখনো প্রায় ১০ লাখ তরুন ব্যক্তি চাকরী কিংবা শিক্ষার বাইরে রয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে আছে।
লার্নিং ল্যান্ড ওয়ার্ক ইনস্টিটিউট এর প্রধান নির্বাহী এস. ইভান্স বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি না থাকায় বর্তমানের এই উদ্বেগ আগামী দিনগুলোর জন্য অশুভ সংকেত।